অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর খড়িবাড়ী বাজারে মহিলা মার্কেট নির্মাণের দীর্ঘ তিনটি বছর অতিবাহিত হলেও তা এখনও চালু হয়নি। এই এলাকার নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা, আত্মনির্ভরশীল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়।
জানা গেছে, এলজিইডি’র অধীনে রংপুরের মের্সাস তাজ মঞ্জি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলার খড়িবাড়ী বাজারে ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে ৭০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬টি দোকান ঘর ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিদের বসার জন্য একটি অফিস ঘর নির্মাণ করে তারা। কাজ সম্পূর্ণ করে বুঝিয়ে দিয়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমস্ত বিল উত্তোলন করলেও নবনির্মিত অফিস কক্ষ ও দোকান ঘরগুলো এখনও তালাবদ্ধ হয়ে রয়েছে।
নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা, আত্মনির্ভরশীল ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে যে মহিলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে তা সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর না করায় সরকারের লক্ষ্যই ভেস্তে যেতে বসেছে। মার্কেটটি নির্মাণের তিন বছরেও হস্তান্তর না হওয়ায় মার্কেটের আয়ের উৎস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সুবিধাভোগীরা।
সুবিধাভোগীরা ঘর বরাদ্দ পাওয়ার আশায় সংশ্লিষ্ঠ অফিসগুলোতে ধর্না দিয়ে আসলেও পাচ্ছে না বরাদ্দের ঘর। কবে পাবেন তারও হদিস নেই।
এদিকে এক শ্রেণির অসাধু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোপনে ঘর বরাদ্দ নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, ডিসিআর নিয়ে ১৫-২০ বছর ধরে মুদি দোকান করে সংসার চলাচ্ছি। আমার স্ত্রী ও সন্তান প্রতিবন্ধি। তাদের নামে আবেদন করেছি, জানি না দোকান ঘর বরাদ্দ পাব কি না।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জুমবাংলাকে জানান, আবেদনগুলো রেজুলেশন করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জুমবাংলাকে জানান, ভবনের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোছা. মাছুমা আরেফিন জুমবাংলাকে জানান, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান কর্তৃক রেজুলেশনকৃত আবেদন পাওয়ার পর সেগুলো যাছাই-বাছাই করে সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।