জুমবাংলা ডেস্ক : স্বেচ্ছা ধারের তিন লাখ টাকার সুদাসল অন্তত ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেও দেনা মেটাতে পারেননি এক গৃহবধূ। অগত্যা তিনি সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি।
ওই নারীর নাম লাভলী বেগম। তিনি খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের হাড়িখালী গ্রামের কায়েস ফকিরের স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে লাভলী বেগম জানান, ২০১৮ সালে তেরখাদা উপজেলার বারাসাত ইউনিয়নের হাড়িখালী গ্রামের আসলাম মোল্লার স্ত্রী সালমা বেগম নিজে তাদের বাড়িতে এসে উপকারের কথা বলে এক লাখ টাকা ঋণ দেন। ওই টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে চাইলেও তিনি নেননি। বরং কৌশলে সুদ হিসেব করতে থাকেন তিনি। এর কিছুদিন পর দশ-বিশ হাজার টাকা করে পর্যায়ক্রমে তিন লাখ টাকা ঋণ দেন তিনি। এক বছর পর ২০১৯ সালে এসে সুদাসলে ৬ লাখ টাকা দাবি করেন সালমা বেগম। এরপর পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে, গোয়ালের পাঁচটি গরুসহ বাড়ির ঘটিবাটি বিক্রি করে এ পর্যন্ত তিনি অন্তত ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তাতেও ঋণ শোধ হয়নি। সালাম বেগম এখনও টাকা চেয়েই যাচ্ছেন।
একপর্যায়ে লাভলী বেগমের ভাই পুলিশ সদস্য মফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত দু’টি চেকের পাতা চুরি করে নিয়ে যান সালমা বেগম, যদিও তখন জানতে পারিনি কেউ। ২০২১ সালের ১৪ জানুয়ারি লাভলী বেগমের ভাই পুলিশ সদস্য মফিজুর রহমানের সেই চেক দু’টির খোঁজ না পাওয়ায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং-৭৩২, ১৪-০২-২০২১)। সাধারণ ডায়েরির পর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে গিয়ে চেকের পাতা দু’টি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। কিন্তু নিষ্ক্রিয় দু’টি চেকের বিপরীতে বিশ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা করেন সালমা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে লাভলী আরও বলেন, তার এই বিপদের মধ্যে ঘোলাজলে মাছ শিকার করতে আসেন তেরখাদা চিহ্নিত প্রতারক রিপন বিশ্বাস। মামলার ভয় দেখিয়ে রিপন বিশ্বাস তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় সালমা বেগমের সঙ্গে মিলে ভুয়া স্ট্যাম্প তৈরি করেন রিপন বিশ্বাস। সেই ভুয়া তিনটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমেই হয়রানিমূলকভাবে আমার কাছে বিশ লাখ টাকা দাবি করছেন। গত ২৮ আগস্ট সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ২৯টি ভুয়া সীলমোহরসহ রিপন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে র্যাব-৬।
সুদের বেড়াজাল থেকে বাঁচতে সালমা বেগমকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তবে লাভলী বেগমের অভিযোগ অস্বীকার করে সালমা বেগম বলেন, আমার কাছে স্ট্যাম্পসহ সব প্রমাণ আছে। তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে দেখাক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।