লাইফস্টাইল ডেস্ক : দেরিতে বিয়ে, ক্যারিয়ার বা আর্থিক অস্থিরতার কারণে অনেক নারীরাই এখন ৩০-৩৫ বছর বয়সে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩৫ এর পর প্রেগনেন্সি প্ল্যানিংয়ের ক্ষেত্রে নারীদের নানান সমস্যা দেখা দেয়।
এমনকি ফার্টিলিটির ওপরও বয়সের প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়াও গর্ভপাত, প্লাসেন্টা প্রিভিয়ার সমস্যা, সময়ের আগে ডেলিভারি এবং ডাউন সিন্ড্রোমের মতো সমস্যার ঝুঁকি থেকে যেতে পারে। যে সমস্ত নারীরা দেরিতে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করছেন, তাদের বিশেষ কিছু বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণত ৩৭ বছরের পূর্বে যে কোনও সময় গর্ভধারণ করা যেতে পারে। এ জন্য নারীদের নিজের স্বাস্থ্য ও মেনোপজের সময়ের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ৩৫ বছরের পর ডিম্বাণুর গুণমান ও ফার্টিলিটি কমতে থাকে, তাই গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কমে যায়। তবে তা সত্ত্বেও গর্ভধারণ একেবারেরই অসম্ভব হয়ে পড়ে না।
গর্ভধারণের জন্য নারীদের বয়স যতটা গুরুত্ব বহন করে, ততটাই গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীর বয়সও। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শুধু নারীই নয়, বরং পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। তবে নারীর তুলনায় পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার হার কম।
আপনি ও আপনার সঙ্গীর বয়স যদি ৩০ বছর হয় এবং ৬ মাস চেষ্টা চালিয়েও গর্ভধারণ করতে পারছেন না, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরিবার পরিকল্পনার আগেই আপনি ফার্টিলিটি স্ক্রিনিং করাতে পারেন। কোনও সমস্যা থাকলে তা প্রথমেই জানতে পারবেন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে আপনার ফার্টিলিটি সহজে নষ্ট হবে না। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরা নিজের ডায়েট ও স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ নজর দিন। এর জন্য কোনও পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন।
এ ছাড়াও নিয়মিত এক্সারসাইজ, পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর খাবার-দাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। কোনভাবেই ভুলেও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বেন না। চিনি, ক্যাফেইন, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।