বিলিয়ন ইউজারের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম-এর সিইও ও কর্ণধার পাভেল দুরভ চালান মাত্র ৩০ জন কর্মী নিয়ে৷ আর এখানে নেই কোনো মানবসম্পদ বিভাগ বা এইচ আর ডিপার্টমেন্টও। সুরভের সাম্প্রতিক গ্রেফতারের পর এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে আলোচনায়।
মেটার ওয়াটস্যাপ-এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ‘টেলিগ্রাম’। আর এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রাশিয়ান টেক জিনিয়াস পাভেল দুরভ সম্প্রতি ফ্রান্সে গ্রেফতার হয়েছেন। টেলিগ্রাম সংক্রান্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ফরাসী সরকার। রাশিয়ার যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে যে ভয়ানক রকমের নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, সে কথা সবারই জানা।
আর এই গ্রেফতারের পর যেন টেলিগ্রামের জনপ্রিয়তা ও টেলিগ্রাম নিয়ে আগ্রহ দুই-ই বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী জ্যামিতিক হারে৷ এ ধারাবাহিকতায় যে খবরটি এখন আলোচনার তুঙ্গে তা হলো, বিলিয়ন ইউজারের এই জনপ্রিয় কোম্পানি পাভেল দুরভ চালান মাত্র ৩০ জন কর্মী নিয়ে।
উল্লেখ্য, নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ভিকে’ নিয়ে রাশিয়ান সরকারের হুমকির মুখে দুবাইতে চলে গিয়ে সেখান থেকে ২০১৩ সাল থেকে টেলিগ্রাম পরিচালনা করেন দুরভ। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রুশ সরকার নিষিদ্ধ করে রেখেছিল টেলিগ্রাম। তবে সব মিলিয়ে রাশিয়া, অন্যান্য সোভিয়েত দেশ আর ইউক্রেনে টেলিগ্রাম অত্যন্ত জনপ্রিয়।
গ্রেফতারের মাস দুই আগে, ২০২৪-এর জুনে মার্কিন সংবাদ সংস্থা ফক্স নিউজের সুপরিচিত প্রাক্তন সংবাদকর্মী টাকার কার্লসনের কাছে টেলিগ্রাম সম্পর্কে বেশ অবাক করা কিছু তথ্য দিয়েছিলেন সিইও দুরভ। আর তাঁর গ্রেফতারের পর এ নিয়ে আবার তুমুল আলোচনা হচ্ছে। কার্লসনকে এই টেক জিনিয়াস বলেন, টেলিগ্রামের ইউজার প্রায় বিলিয়ন ছুঁয়ে ফেললেও এর কর্মী মাত্র ৩০ জন। প্রতি ৩০ মিলিয়ন ইউজার সামলাতে এখানে একজন করে ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন। আর এই প্রতিষ্ঠানে সত্যিকার অর্থে কোনো এইচ আর ডিপার্টমেন্ট নেই।
প্রতিদিন এখন ২.৫ মিলিয়ন ইউজার নতুন করে এই মেসেঞ্জারে সাইন আপ করছেন। তারপরেও ছোট টিম নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন দুরভ, বলেন তিনি। তাঁর বয়ানে ‘আমি এখানে একাধারে একমাত্র কর্ণধার, পরিচালক আর প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে প্রথম থেকেই কাজ করছি। আর এতে দ্রুত কোম্পানিটি বেড়ে উঠেছে ঝামেলা ছাড়াই’৷
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেই বেশিরভাগ আইডিয়া ও ফিচার দেই, আর সেগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের ওপর’। অনেকটা আসলে ওয়ান ম্যান শো চলছে বলা যায় টেলিগ্রাম কোম্পানিতে৷ দুরভ অবশ্য বলেন, এত দায়িত্ব একা পালন করতে, আর এত ইউজারের চাওয়া-পাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে তিনি হিমশিম খান না। বরং উপভোগ করেন পুরো বিষয়টা।
কার্লসনকে অবাক করে দিয়ে দুরভ বলেন, অনেকটা নেভি সিল কমান্ডো দলের মতো লক্ষ্য সামনে রেখে অল্প কয়জন মিলে কার্যকর ভূমিকা রেখে চালান এই কোম্পানি তাঁরা। উল্লেখ্য, আমাদের দেশেও এবার জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যখন ওয়াটস্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জার বন্ধ ছিল, তখন টেলিগ্রাম খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এখানেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।