ধর্ম ডেস্ক : আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ওই দিন সরস্বতী পূজা রয়েছে। তাই তারা সেটি পেছানোর আবেদন করেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধা নেই। পূজা এবং নির্বাচন একই সঙ্গে চলবে।
সরস্বতী পূজা আসলে কখন?
হিন্দু ধর্ম পঞ্জিকা অনুসারে সরস্বতী পূজা শুরু হয় পঞ্চমী তিথির শুরু থেকে। পঞ্চমী শুরু হচ্ছে ১৪ মাঘ ১৪২৬ (বাংলাদেশের বাংলা ক্যালেন্ডারে যা ১৫ মাঘ ১৪২৬) তারিখ, অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৯টায়। পূজার ক্ষণ শেষ হবে পরদিন ৩০ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ।
এই পঞ্চমীর মধ্যে পূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।
সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী ২৯ তারিখ সরস্বতী পূজার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ নিয়ে জটিলতার কারণ কী?
গত ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে যে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এরপরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আপত্তি জানান যে, সেদিন তাদের পূজা রয়েছে। তাই তারিখ পরিবর্তন করা জরুরি।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সরকারি ছুটির তালিকায় সরস্বতী পূজার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে ২৯ জানুয়ারি। সে কারণে আমরা ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছি। পরবর্তীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের কাছে এসে আপত্তি জানিয়েছেন যে, ৩০ জানুয়ারিতে তাদের পূজা আছে। কিন্তু যেহেতু এ ব্যাপারে তারা হাইকোর্টে গেছেন এবং আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, তাই আমাদের আর এখন এ ব্যাপারে কিছু করার নেই।
তারিখ পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন একজন আইনজীবী। আদালতে রিটকারী আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ বলেছেন, ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আর ৩০ জানুয়ারি পঞ্চমীর আগে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা প্রয়োজন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়ায় ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কীভাবে নির্ধারিত হয় পূজার দিনক্ষণ
বাংলাদেশের মাদারীপুরের মহেন্দ্রদী কালীবাড়ি মন্দিরের সভাপতি উত্তম ব্যানার্জী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, তিথি-নক্ষত্র বিচার বিশ্লেষণ করে পূজার দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে থাকে। পঞ্জিকায় এ ব্যাপারে বিশদ বর্ণনা থাকে, কখন তিথি শুরু হয়ে কখন শেষ হবে, দিনক্ষণ সময় সব দেয়া থাকে। তাই পূজা-অর্চনার জন্য আমরা পঞ্জিকার ওপর নির্ভর করি। পঞ্জিকা অনুযায়ীই পূজার সময় নির্ধারণ করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এজন্য বেশ কয়েকটি পঞ্জিকা অনুসরণ করে থাকেন। ভারতের আদি বাংলা বর্ষপঞ্জির সঙ্গে ধর্মীয় পঞ্জিকার দিনক্ষণের মিল থাকলেও বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জির সঙ্গে হুবহু মেলে না।
একসময় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে একই ধরণের বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করা হলেও বাংলাদেশে কয়েক দফা বাংলা বর্ষপঞ্জি সংশোধিত হয়। তবে বাংলাদেশের সরকারি কাজকর্মে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করা হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের পূজা-অর্চনা ও আচার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এখনো আদি বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করেন।
উত্তম ব্যানার্জী বলছেন, আমরা যেসব পঞ্জিকা দেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করি, তার সঙ্গে ভারতের বাংলা বর্ষপঞ্জির মিল থাকলেও বাংলাদেশের বাংলা বর্ষপঞ্জির সঙ্গে কোন মিল নেই। বাংলা ক্যালেন্ডারে তিথি-নক্ষত্র থাকে না, কয়টা থেকে পূজা শুরু হবে, কখন শেষ হবে থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা, পঞ্জিকার সঙ্গে এই ক্যালেন্ডারের তারিখও মেলে না। তাই পূজা-অর্চনার জন্য সেটা অনুসরণ করতেও পারি না।
তিনি জানান, পঞ্জিকাগুলো ভারতেই তৈরি, ফলে সেখানকার বাংলা বর্ষপঞ্জির সঙ্গে পঞ্জিকার মিল রয়েছে। এ কারণে যারা পঞ্জিকা দেখে কর্মকাণ্ড করেন, তারা স্বভাবতই সেই বাংলা তারিখ অনুসরণ করেন। সেখানে পূর্ণিমা, অমাবস্যা, তিথি নক্ষত্র ইত্যাদির উল্লেখ থাকে। তাই পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তির মতো অনেক অনুষ্ঠান বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বাংলাদেশে পালন করা হলেও, যারা পঞ্জিকা অনুসরণ করেন, তারা আদি বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করেন। ফলে তাদের উদযাপনের দিন একদিন আগে বা পরে হয়ে থাকে।
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ধর্মীয় এসব বিষয় কি গুরুত্ব পায়নি?
বাংলাদেশে কয়েক দফা বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করা হলেও, ভারতের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে আদি বাংলা বর্ষপঞ্জি অপরিবর্তিত অবস্থায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই বর্ষপঞ্জির সঙ্গে বাংলা পঞ্জিকাগুলোর মিল রয়েছে,যা অনুসরণ করেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেই পঞ্জিকাই অনুসরণ করেন।
উত্তম ব্যানার্জী বলছেন, বাংলাদেশের বাংলা বর্ষপঞ্জির সঙ্গে পঞ্জিকা অনুযায়ী তিথি, নক্ষত্র, চাঁদের দিনক্ষণের হিসাব মেলে না। ফলে সেটি তারা অনুসরণ করতে পারছেন না। কিন্তু বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের ব্যাপারে কি এসব বিষয় আমলে নেয়া হয়নি?
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয় বিবেচনায় রেখে নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এবং গ্রহণযোগ্য বর্ষপঞ্জি তৈরি করতে চেয়েছি। আদি বাংলা বর্ষপঞ্জি চান্দ্র মাসের সাথে মিল রেখে করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অনেক ক্রুটি ছিল। তাই আমরা চাইলাম গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে আধুনিক একটা বর্ষপঞ্জি তৈরি করার। সেটা করার পর দেখা গেল আমাদের বিশেষ কিছু দিন, যেমন আটই ফাল্গুন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের বাংলা তারিখ গ্রেগরিয়ান তারিখে একেক সময়ে একেক তারিখে পড়ছে। তাই সেটা নির্দিষ্ট রাখার জন্য গত অক্টোবর মাসে আরেক দফা সংশোধন করা হয়েছে।
এখানে ধর্মীয় কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে তিনি বলছেন।
আমরা চেয়েছি আধুনিক, মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য একটি বর্ষপঞ্জি তৈরি করার, সেটাই আমরা করেছি। এখানে বিজ্ঞানসম্মত ও আন্তর্জাতিক দিনক্ষণ অনুসরণ করা হয়েছে। এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।
আদি বাংলা বর্ষপঞ্জি আর আধুনিক বাংলা বর্ষপঞ্জির কোনটা বেশি ভালো?
বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলছেন, বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ, যাচাই বাছাই এর পরেই আধুনিক বাংলা বর্ষপঞ্জি নির্ধারিত হয়েছে। সুতরাং এটা বিজ্ঞানসম্মত ও মানসম্মত একটি বর্ষপঞ্জি। আদি যে বাংলা বর্ষপঞ্জি ছিল, যা এখনো অনেকে অনুসরণ করেন, সেখানে কয়েক ঘণ্টার সময়ের ক্রুটি রয়েছে। সেটা অনুসরণ করলে বছর থেকে কয়েক ঘণ্টা বা লিপইয়ারের হিসাব মিলবে না। তাই সেটার সংশোধন জরুরি ছিল।
একসময় এটাই বাংলাভাষী সবাইকে মেনে নিতে হবে, তিনি বলছেন।
কিন্তু সংশোধনের পরেও কেন সেটা গ্রহণ করছেন না হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা?
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, সবকিছু বিজ্ঞানসম্মত হলেই যে সবাই গ্রহণ করবেন, তা তো নয়। বিশেষ করে ধর্মের ব্যাপারে বিজ্ঞান নিয়ে তো কেউ ভাবতে চায় না। তাই মানুষ নতুন করে সংশোধন হওয়া একটি বর্ষপঞ্জি সহজে গ্রহণ করতে পারে না, তারা বরং আদি বর্ষপঞ্জিকেই মেনে নিয়েছে।
তিনি জানান, হিন্দু ধর্মের নানা অনুষ্ঠান পালনে গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা, পিএম বাগচী আর বেনিমাধব শীল পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়। কিন্তু বাংলা বর্ষপঞ্জির কয়েক ঘণ্টার ক্রুটি ঠিক করে পরবর্তীতে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা চালু করা হয়। পশ্চিমবাংলার সরকারি কাজকর্মে সেটার ব্যবহারও করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এখনো সেটা গ্রহণ করেনি।
তিনি বলছেন, বাংলা বর্ষপঞ্জি বহু আগে থেকেই মাস গণনা করা হয়ে আসছে। সম্রাট আকবর হিজরি বর্ষের সঙ্গে মিলিয়ে সেটার নতুন একটা ধরণ চালু করেন, যেটা এখন আমরা দেখছি। হিন্দু পূজা অর্চনার ক্ষেত্রে আরো আগে থেকে যেভাবে তিথি নক্ষত্র ক্ষণ গণনা হতো, সেই ধরণের খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। এ কারণেই মানুষ ধর্মীয় আচারের জন্য বর্ষপঞ্জির চেয়ে বরং পঞ্জিকার ওপর বেশি নির্ভর করছে।
বাংলা বর্ষপঞ্জির সংস্কার
বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কারের উদ্যোগ শুরু হয় ১৯৫০ সালে। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন ড. মেঘনাদ সাহা। ১৯৬৩ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ নেতৃত্বে বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি ড. মেঘনাদ সাহার সুপারিশ সামনে রেখে কিছু পরিবর্তন করে সুপারিশ করে। যেমন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিনের পরিধি মাপের পরিবর্তন করে গ্রেগরিয়ান পদ্ধতি অনুসারে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তারিখ পরিবর্তন হবে বলে গণ্য করা। অধিবর্ষে চৈত্রে ৩১দিনের কথা বলা হয়।
সেই সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশে প্রথম বাংলা বর্ষপঞ্জি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয় ১৯৮৭ সালে। সে সময় বছরের প্রথম পাঁচ মাস ৩১দিন এবং বাকি সাত মাস ৩০ দিন হিসাবে গণনা শুরু হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালের ২৬শে জুলাই বাংলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন-উর-রশিদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশ ছিল চৈত্র মাসের বদলে ফাল্গুন মাসকে অধিবর্ষের মাস হিসাবে গণনা করা। অর্থাৎ অধিবর্ষে ফাল্গুন মাস হবে ৩১ দিনে।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানকে সভাপতি করে আরেকটি সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির সিদ্ধান্ত হয় বছরের প্রথম ছয় মাস ৩১দিনে গণনা করা হবে। ফাল্গুন মাস ছাড়া অন্য পাঁচ মাস ৩০ দিনে পালন করা হবে।
ফাল্গুন মাস হবে ২৯ দিনের, কেবল লিপইয়ারের বছর ফাল্গুন ৩০ দিনের মাস হবে। এই সুপারিশ অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাস থেকে বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করা হয়েছে। তবে ভারতের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে আদি বাংলা বর্ষপঞ্জিই অনুসরণ করা হতে থাকে।
বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে দুই রকম বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করা হয় বলে পহেলা বৈশাখ ও চৈত্র সংক্রান্তি আলাদা তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জির শুরু ইতিহাসবিদদের হিসাব অনুযায়ী ১৫৫৬ সাল থেকে বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়।
মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তার সভার জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লা শিরাজীর সহযোগিতায় ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে ‘তারিখ-এ-এলাহি’ নামে নতুন একটি বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন।
এটি কৃষকদের কাছে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত হয়, যা পরে ‘বাংলা সন’ বা ‘বঙ্গাব্দ’ নামে প্রচলিত হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে প্রচলিত রাজকীয় সন ছিল ‘হিজরি সন’, যা চন্দ্রসন হওয়ার প্রতি বছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতো না।
বাংলা সন শূন্য থেকে শুরু হয়নি, যে বছর বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়, সে বছর হিজরি সন ছিল ৯২৩ হিজরি। সে অনুযায়ী সম্রাটের নির্দেশে প্রবর্তনের বছরই ৯২৩ বছর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলা সনের। বাংলা বর্ষের মাসগুলোর নামকরণ হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্রের নামে। সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।