অর্থনীতি ডেস্ক : শিল্প উদ্যোক্তাদের রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা বাস্তবায়নে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এই তহবিল গঠন করার নির্দেশনা দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এই প্যাকেজ থেকে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক।
তহবিলের টাকা বিতরণে প্রত্যেক ব্যাংকে বিশেষ সেল গঠন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এতদসংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার লক্ষ্যে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে একটি ‘বিশেষ সেল’ গঠন করতে হবে এবং ওই সেল এই প্যাকেজের আওতায় ঋণ কার্যক্রমের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ মনিটরিং ইউনিটের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতিপত্র প্রাপ্তির পর ব্যাংক নিজস্ব ঋণ নীতিমালার আওতায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ বিতরণ করবে।
ঋণ আদায় প্রক্রিয়া
এ সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ঋণের বিপরীতে আরোপিত সুদ বা মুনাফাসহ ঋণের স্থিতি মঞ্জুর করা ঋণ সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। তবে কোনও কারণে সুদ আরোপের ফলে ঋণের স্থিতি ঋণসীমা অতিক্রম করলে প্রতি তিন মাস অন্তর পরবর্তী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ বা সমন্বয় করবে। বিতরণ করা ঋণ বা বিনিয়োগ আদায়ের সব দায়-দায়িত্ব ঋণ দেওয়া ব্যাংকের ওপর বর্তাবে। ঋণ অনাদায়ে এরূপ হিসাব শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিকরণ করে যথাযথ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেন। এতে বর্তমানে চলমান সুদ বা মুনাফার হার ৯ শতাংশের বিপরীতে সরকার ৪.৫০ সুদ ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।