জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বিশেষ অভিযানে চাঞ্চল্যকর শিশু গোলাম রব্বানী ওরফে রাব্বি (৭) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলো- অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর আল আমিন হোসেন, মাদক ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম ওরফে মুসফিকুর। এ সময় হত্যায় ব্যবহত একটি মোবাইলফোন, নয়টি সিম ও একটি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে রাব্বি হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি কামরুজ্জামান।
কামরুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাব্বি বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে। পরের দিন মিঠাপুকুর থানায় নিখোঁজ রাব্বির মা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা রাব্বির বাবার মোবাইলে কল দিয়ে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাব্বির পরিবার টাকা জোগাড় করছিল, কিন্তু এরই মধ্যে এক প্রতিবেশী বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে রাব্বির লাশ দেখতে পান। পরে রাব্বির মা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মিঠাপুকুরের সুলুঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাব্বি হত্যায় জড়িত কিশোর আল আমিন হোসেন ও মহিদুল ইসলাম ওরফে মুসফিকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে, মহিদুল ও আল আমিন প্রতিবেশী এবং তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। আল আমিন ভারতীয় ক্রিকেট টি-২০ লিগ আইপিএলের ম্যাচে টাকা বাজি ধরে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঋণী হয়েছে। সেই টাকার জন্য পাওনাদাররা বারবার চাওয়ার কারণে সে মহিদুলের কাছে টাকা ধার চায়। মহিদুল তার কাছে টাকা নেই জানিয়ে রাব্বিকে অপহরণের পরামর্শ দেয়। রাব্বির বাবা রফিকুলের অনেক টাকা আছে। তাই তার ছেলেকে অপহরণ করতে পারলে বেশকিছু টাকা আদায় করা যাবে। মহিদুলের পরামর্শে আল আমিন রাব্বিকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তার বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় নিয়ে চকলেটের সঙ্গে কৌশলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। চকলেট খাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে রাব্বি অচেতন হয়ে যায়। এরপর মহিদুলের পরামর্শে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাব্বিকে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশে খড়ের গাদায় লুকিয়ে রাখে। রাত ১১টার দিকে রাব্বি জেগে উঠলে তাদের চিনতে পারে এবং চিৎকার করার চেষ্টা করে। তখন তারা দুজন মিলে রাব্বিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে রাব্বিকে বস্তায় ভরে পাশের ধানের ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং গলা টিপে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়। রাব্বিকে হত্যার পরেও তারা মোবাইলে মুক্তিপণের দাবিতে চাপ দিতে থাকে। মোবাইলের সুত্র ধরেই তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।