জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ ডিজেলের মজুদ রয়েছে তা দিয়ে ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশেনে (বিটিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। তিনি বলেন, আজ থেকে যদি আমদানি বন্ধ করে দেয়া হয়, তবে যে পরিমাণ ডিজেলের মজুত আছে, তাতে সারাদেশের ৩২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আগামী ৬ মাসের আমদানি পরিকল্পনা তৈরি করা আছে।
আজ বুধবার বিপিসির এক সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৩২ দিনের মজুত থাকা মানে এ না যে, বিপিসি আমদানি কাল থেকে বন্ধ করে দেবে। আমদানি, মজুত ও সরবরাহ একটি চক্রাকার প্রক্রিয়া। আজকে থেকে পরবর্তী ৯ দিনের অকটেন মজুত রয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অকটেনবাহী একটি জাহাজ আসবে। তখন মজুতের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ দিনের। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে পেট্রলের মজুত রয়েছে ১৫ দিনের, অকটেনের ৯ দিনের, ফার্নেস অয়েল ৩২ দিনের, জেট ফুয়েল ৪৪ দিনের মজুত আছে। পেট্রলের শতভাগ দেশেই উৎপাদন হয়। এর সঙ্গে মজুতের কোনো সম্পর্ক নেই।
পেট্রোল পাম্পে নোটিশ টানানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো পাম্পকে তেল কম বা নির্দিষ্ট পরিমাণ দেয়ার জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যারা নিজ উদ্যোগে এমনটা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বি এম আজাদ আরও বলেন, দেশে বর্তমানে ডিজেল ৪ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।