আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে কানাডায় চলা আন্দোলন দমনে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনাকে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ কার্যক্রম আর চলতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে, শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর আইন (জরুরি অবস্থা) জারি করতে হলো।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এক ভাষণে ট্রুডো এ জরুরি অবস্থা জারি করেন। খবরটি প্রচার করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তিনি ভাষণে আরও বলেন, অবৈধ বিক্ষোভের কারণে রাজধানীসহ আশপাশের লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে বিক্ষোভের ফলে আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছে। আমরা এই বিপজ্জনক কার্যক্রম আর চলতে দিতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে শেষ পদক্ষেপ হিসেবে কঠোর আইন (জরুরি অবস্থা) জারি করতে হলো।
এর মাধ্যমে সরকার নাগরিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, জনশৃঙ্খলা পুনর্বহাল, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ বা কোনো এলাকায় ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করতে পারবে। তবে ট্রুডো বারবার বলেছেন এ আইনটি মানুষের মৌলিক অধিকার হস্তক্ষেপের কারণে ব্যবহার করা হবে না।
ট্রুডো আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের বাক স্বাধীনতা বা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সীমিত করছি না। আমরা জনগণকে আইনগতভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দিচ্ছি না।’
এর আগে শেষবার ১৯৮৮ সালে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল কানাডা জুড়ে। ৩৪ বছর পর ফের একবার দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
প্রসঙ্গত, জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের জারি করা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে জড়ো হয়ে গত মাসের শেষের দিকে আন্দোলন গড়ে তোলে। পার্লামেন্টের সামনে তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে তারা। এ আন্দোলন যখন তীব্র হয়, ঠিক তখনি নিরাপত্তা জনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার পরিবারের সদস্যদের রাজধানী অটোয়া থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।