আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান যুগে যখন মানুষের মধ্যে সততা দিন দিন কমে চলেছে, সেইমুহূর্তে সততার এক উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করলো আফ্রিকার দেশের এক যুবক। রাস্তার ধারে পাওয়া ৩৮ লক্ষ টাকার পুরোটাই সে তার মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই টাকা থেকে একটি টাকাও ছুঁয়ে দেখেনি সে আর তার সেই সততার জন্য এমনভাবে পুরস্কৃত হলো যে সারা বিশ্বের মিডিয়াতে বর্তমানে সে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ইমানুয়েল টুলো একসময় স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। অনেক শিশুদের মতো তাকেও দারিদ্র্যের কারণে স্কুল ছেড়ে কাজ করতে হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাবার মৃত্যুর পর ৯ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পর সে তার কাকিমার সাথেই থাকতে শুরু করে। এমনকি ছোট বয়সে ট্যাক্সি চালানো শুরু করে টুলো।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী ইমানুয়েল টুলো পশ্চিম আফ্রিকার অন্তর্গত লাইবেরিয়ার বাসিন্দা। ট্যাক্সি চালক টুলোর রোজগার এতই কম যে প্রতিদিনের খরচও সে মেটাতে পারতনা। এই অবস্থায় একদিন সে রাস্তার ধারে একটি ব্যাগ খুঁজে পায়, যা প্রায় ৩৮ লাখ টাকার লাইবেরিয়ান এবং আমেরিকান নোটে ভর্তি ছিলো। ফলে সে চাইলে এই টাকাভর্তি ব্যাগ আত্মসাৎ করলেও কারোর কিছু করার ছিলোনা। এই অর্থ তার জীবন বদলে দিতে পারত, কিন্তু তার পরিবর্তে সেই টাকা তার কাকিমাকে দেওয়ার সময় সে বলে যে, কেউ যদি সরকারী রেডিওতে এই টাকার জন্য আবেদন করে, তবে সে সেই অর্থ তাকে ফেরত দেবে। কিন্তু সে এটা কখনোই ভাবেনি যে, তার সততার জন্য সে এমন একটি পুরস্কার পেতে চলেছে, যা তাকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে।
টুলোর সেই অর্থ তার মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার খবর পৌঁছে যায় দেশের প্রেসিডেন্ট জর্জ ভিয়ার কাছে। বর্তমানে এই সততার জন্য জর্জ ভিয়ার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে নামকরা স্কুলে ভর্তিও হয়েছে সে। এর সাথে, আমেরিকার একটি কলেজ তার স্নাতক পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপও দান করেছে।
ইমানুয়েল রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা পাওয়ার পাশাপাশি যাকে টাকা সে ফেরত দেয়, তার কাছ থেকেও এক লাখ টাকার বেশি পুরস্কার পায় টুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।