জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের পঁচাত্তর শতাংশ ব্যাংকেই উদ্বৃত্ত তারল্য বা অতিরিক্ত অর্থ আছে। সরকারি-বেসরকারি ৪৬টি ব্যাংকে এ তারল্যের পরিমান প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। আমানতকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরায় একে ব্যাংক খাতের জন্য স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকের অতিরিক্ত তারল্য বিনিয়োগে কাজে লাগাতে না পারলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নতুন কর্মসংস্থানে।
বিগত দেড় দশকে ব্যাংকে অনিয়ম, দুর্নীতি, পাচার ও নামে বেনামে ঋণের কারণে তারল্য সংকটে ডজন খানেক ব্যাংক। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ায় আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে।
এমন পরিস্থিতিতে উল্টো চিত্র সবল ব্যাংকগুলোতে। প্রতিদিনই গ্রাহকের আমানতের পরিমান বাড়ছে এসব ব্যাংকে। সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি প্রায় ৩১টি ব্যাংকেই রয়েছে ৯১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য। আর রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে তারল্যের পরিমান ছাড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু সোনালী ব্যাংকে রয়েছে ৪৯ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই বিদেশি ৯ ব্যাংকও।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলছেন, ‘এটা একটা স্বস্তির খবর। যদিও ইনডিভিজুয়ালি কোনো কোনো ব্যাংক বা যে কয়টা ব্যাংকের ভল্ট ভাঙা হলো, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা তারল্য সংকট চলছে। আগামী ৬ মাসের ব্যবসার সেক্টরের ওপর নির্ভর করবে ব্যাংক কেমন যাবে। আমি আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে একটা স্থিতিশীলতা চলে আসবে।’
চতুর্থ প্রজন্মের ৯ ব্যাংকের মধ্যে ৬টিতেই রয়েছে অতিরিক্ত তারল্য। ব্যাংকের অতিরিক্ত এসব অর্থ নির্দিষ্ট কয়েকজনকে ঋণ হিসেবে না দিয়ে বেশিসংখ্যক গ্রাহককে দেওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এখন উচিত হবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাওয়া। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমিয়ে স্বাভাবিক একটি পরিস্থিতি নিয়ে আসতে হবে।’
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আস্থা সংকটের কারনে নতুন করে বিনিয়োগে যাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। বিনিয়োগে ভাটা পড়ায় ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণও কমেছে। তাই ঋণপ্রবাহ বাড়াতে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরির তাগিদ বিশ্লেষকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।