অর্থনীতি ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের কারণে ৬৩ ভাগ মানুষের আয় কমেছে ও খাদ্যে ব্যয় কমিয়েছে দেশের ৪০ ভাগ মানুষ। তাই জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৫ কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৫ কোটি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এজন্য প্রতি মাসে প্রয়োজন হবে ৫ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
লকডাউনের কারণে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে বন্ধ দোকান পাট। রিকশা, ভ্যান থেকে শুরু সকল ধরনের গণপরিবহন অলস পড়ে আছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে এসব পেশায় জড়িত অসংখ্য মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে কতজন মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন, কতজন মানুষের খাদ্য কিংবা অর্থ সহায়তা প্রয়োজন তা নিয়ে গবেষণা করেছে বিআইজিডি। সাড়ে ৫ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর টেলিফোনে এ জরিপ চালানো হয়।
লকডাউনের কারণে শহরাঞ্চলে ৬৩ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। অপরদিকে গ্রামঞ্চলে আয় কমেছে ৭৯ শতাংশের। এছাড়া লকডাউনের কারণে উপার্জন হারানো মোট জনগোষ্ঠী প্রায় ৬৩ শতাংশ।
এরমধ্যে খাদ্যে ব্যয় কমিয়েছে শহরাঞ্চলের ৪৭ শতাংশ মানুষ, আর গ্রামঞ্চলে ব্যয় কমিয়েছে ৩২ শতাংশ মানুষ। শুধু তাই নয় খাদ্যপণ্য কিনতে ঋণের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের অসংখ্য মানুষ।
এ প্রসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বিআইজিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মাতিন বলেন, ‘এ জরুরি পরিস্থিতিতে আর্বান অ্যান্ড রুরাল গর্ভমেন্ট ও এনজিও’র দুটো সাপোর্টই প্রয়োজন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।