জুমবাংলা ডেস্ক : এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। চীনেও বাংলাদেশের কোনো ছাত্র এ রোগে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু তারপরও স্বস্তি নেই চীনে রয়ে যাওয়া ৫ হাজার বাংলাদেশিদের স্বজনদের মনেপ্রাণে। কারণ ইতোমধ্যে চীনসহ সারাদেশে এ ভাইরাসটি নিয়ে আতংক ছড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চীনে রয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশী। গত ১৫ দিনে ৭ হাজার ৫৭০ জন চীনে যায়। এরই মধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ২ হাজার ৩০৮ জন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন সোর্স থেকে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে চীন থেকে ২ হাজার ৩০৮ জন বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে ভিসা অন অ্যারাইভাল নিয়ে এসেছেন ১ হাজার ৪০ জন। একই সময়ে চীনে গিয়েছেন ৭ হাজার ৫৭০ জন। চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনে অনেক চীনা নাগরিক নিজ দেশে গিয়েছেন। তারা হয়তো ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফিরবেন।
এ বিমান বন্দর দিয়ে প্রতিদিন চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি ফ্লাইট আসা-যাওয়া করে। চায়না ইস্টার্ন, চায়না সাউদার্ন, ইউএস বাংলা ও ড্রাগন এয়ার পরিচালিত এসব ফ্লাইটের মাধ্যমে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ যাত্রী যাতায়াত করেন।
এদিকে ভাইরাসটির প্রকোপ অনুধাবন করে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার নির্দেশনা অনুযায়ী, চীন থেকে বাংলাদেশী ছাত্ররা ফিরে আসতে চাইলে তাদের নিয়ে আসা হবে। তবে চীন সরকার কাউকে এখনই আসতে দেবে না। তাদের ১৪ দিন পর আনতে দেবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এ ১৪ দিন শেষ হবে। আর ফেব্রুয়ারিতে এর প্রকোপ কমে আসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।