আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এই হামলা শুরু হয়। রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যান্টন হেরাশচেনকো সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “আজকের (হামলা দ্বিতীয় দিন) দিনটি আরও কঠিন হবে। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম থেকে ট্যাংক বহর নিয়ে রাজধানী কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী।”
এদিকে, ইউক্রেনের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘ইউক্রেনস্কা প্রাভদা ওয়েবসাইট’ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিতে রাজধানী শহর কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার রাশিয়ার পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছে। যদিও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়, তবে তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাশিয়া যা করতে চায় তা হলো:-
১. রুশ বাহিনী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর দখলে নিয়ে আকাশ পরিবহনের ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, যাতে করে সেখানে ১০ হাজার সৈন্য নামানো যায়। এজন্য সীমান্তে হামলার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা।
২. কিয়েভের বিদ্যুৎ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাশকতার মাধ্যমে বড় ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করা।
৩. শরণার্থীদের দেশত্যাগে প্ররোচিত করা যাতে করে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যস্ত রাখা যায় এবং চারিদিকে তাদের চলাফেরা রোধ করা যায়।
৪. মন্ত্রিসভা, সংসদসহ সরকারি ভবন দখল করা এবং রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বকে বন্দিকরা, যাতে করে তাদেরকে রাশিয়ার শর্তানুযায়ী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা যায়।
৫. রুশপন্থী নেতাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা এবং ইউক্রেনকে পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মতো দুই ভাগে ভাগ করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।