মেয়েকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তার। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর দেশের নামকরা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল। এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে নিয়ে আনন্দে দিন কাটানোর কথা থাকলেও এখন শোকে দিন কাটছে বাবার। মেয়ের কবরের পাশেই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটছে এ হতভাগার।
বলছি রংপুর নগরীর দক্ষিণ কুকরুল এলাকায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হওয়া কলেজছাত্রীর বাবার কথা। যিনি মেয়ের শোকে অনেকটা পাথরের মতো হয়ে গেছেন। শুধু বাবাই নয়, কলেজছাত্রীর মা-ও এখন পাগলপ্রায়।
এদিকে, দাফনের ১৬ দিন পর কবর খুঁড়ে ওই কলেজছাত্রীর লাশ তোলা হয়। বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মালিহা খানমের উপস্থিতিতে নগরীর মুনশিপাড়া কবরস্থান থেকে লাশটি তুলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয় পুলিশ।
নিহতের মা জানান, ৬ জুন দুপুরে তার মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন বান্ধবী আইভি। এরপর আর বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরদিন বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পানিতে ডুবে মারা গেছে মনে করে ওই দিনই তাকে মুনশিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি আরো জানান, তার মেয়ের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ওই কলেজছাত্রীকে দাফনের পর স্বজনরা জানতে পারেন, ঘটনার দিন বান্ধবী আইভিকে দিয়ে বাড়ি থেকে তরুণীকে ডেকে নেন প্রতিবেশী মুন্না ও তার বন্ধু আল আমিন। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তারা। পরে রাতে লাশ পুকুরে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় ১৬ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন নিহতের মা। এরপর পরশুরাম থানাকে মামলা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় আদালত। পরে ওই রাতেই আইভি, মুন্না ও আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরশুরাম থানার ওসি আবু মুসা জানান, দাফনের ১৬ দিন পর ওই কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel