সূত্র আরও জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়াও দুই পার্বত্য জেলা এবং তিন উপজেলায় যাতায়াতের অন্যতম ট্রানজিট এই জনপদে ক’রোনা শনাক্তের পর থেকে অদ্যাবধি ২০৮২ জনের শরীরে ক’রোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. ইমতিয়াজ হোসাইন জানান, উপজেলায় প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ক’রোনার সংক্রমণ। চট্টগ্রাম জেলার অন্য উপজেলার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এই উপজেলায় অনেক বেশি। যা সত্যিই আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যবিধি তথা সামাজিক দূরত্ব না মানার ও মাস্ক না পরার কারণে এমনটা হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন কার্যকরে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে দেখা গেছে।
এছাড়া সকাল থেকে উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা এবং দোকানপাট বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। তাছাড়া দুই পার্বত্য জেলা পৌঁছার একমাত্র সড়ক চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে রিকশা ব্যতীত যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ ছিল।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ক’রোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন মানার ক্ষেত্রে উদাসীন জনসাধারণকে সচেতন করছি। পাশাপাশি ক’রোনার সংক্রমণ রোধে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দুটি টিমে বিভক্ত হয়ে কাজ করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।