জুমবাংলা ডেস্ক : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আগামী ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর ধরে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। এবারও ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র। আর সকল টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
আজ বুধবার দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘আসছে পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেন যাত্রীদের জন্য আগামী ৭ এপ্রিল থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিন টিকিট কেটে ১৭ এপ্রিল যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। ঈদ পরবর্তী টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ এপ্রিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ এপ্রিলের টিকিট ৭ এপ্রিল, ১৮ এপ্রিলের টিকিট ৮ এপ্রিল, ১৯ এপ্রিলের টিকিট ৯ এপ্রিল, ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল এবং ২১ এপ্রিলের টিকিট ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে। ঈদের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।
অন্যদিকে, ঈদ শেষে ফিরার জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ২৫ এপ্রিল যাতায়াতের টিকিট পাওয়া যাবে ১৫ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিলের টিকিট কাটতে হবে ১৬ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিলের টিকিট কাটতে হবে ১৭ এপ্রিল, ২৮ এপ্রিলের টিকিট কাটতে হবে ১৮ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিলের টিকিটি কাটতে হবে ১৯ এপ্রিল এবং ৩০ এপ্রিলের টিকিট কাটতে হবে ২০ এপ্রিল।
এবারের ঈদের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কমলাপুরে গিয়ে টিকিটের জন্য যাত্রীদের যেন ঘুরতে না হয় এবং তারা যেন বাসায় বসে টিকেট কাটতে পারে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গমন ট্রেনে প্রতিদিন মোট আসন সংখ্যা হবে ২৫ হাজার ৭৭৮টি। এছাড়া ঢাকা ও জয়দেবপুর থেকে তিনটি ঈদ স্পেশাল ট্রেনে আরও তিন হাজার আসনের টিকেটও অনলাইনেই বিক্রি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঈদের চাঁদ দেখার ওপরে নির্ভর করে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ডে অফ প্রত্যাহার করা হবে। ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে মোট ৫৩টি যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ২১৮টি লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহার করা হবে। এছাড়া বিনা টিকিটে ভ্রমণ, রেলে নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। থাকবে ভ্রাম্যমান আদালতও। আর এসব মনিটর করতে একটি সেল গঠন করা হবে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে। ট্রেনগুলো হলো- চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-১ ও ৩, চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল-২ ও ৪, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৬, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল, সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদ স্পেশাল-১০, ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ১৪ ও ১৫ এবং পঞ্চগড় রুটে ঈদ স্পেশাল-১ ও ২।
শুধু শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজের যাত্রীদের জন্য ভৈরববাজার -কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১১ ও শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১২ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল-১৩ ও ১৪ চলবে।
এ সময় আন্ত:দেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্ত:দেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।