আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অপত্য স্নেহের বশবর্তী হয়ে অনেক মা-ই সন্তানের জন্য এমন কিছু করেন যা তাক লাগিয়ে দেয় মানুষকে। লাখ-লাখ টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করেন না সন্তানের মঙ্গলে। তেমনই এক অস্ট্রেলিয়ান মা রক্সি জ্যাসেঙ্কো।
কেবল নিজের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবেই রক্সি কদিন আগেই ৪৬ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ লাখ টাকা) খরচ করে নিজের ৯ বছরের মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলের জন্য কেনেন মার্সিডিজ বেঞ্জের একটি গাড়ি। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি।
পিক্সি ও হান্টার নামে নিজের দুই সন্তানকে এবার আরও বড়সড়ো সাত আসনের মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনে দিলেন তিনি। খরচ করলেন এক লাখ ৪১ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা। এভাবে টাকা ঢেলে রক্সি নামের ওই মা প্রমাণ করে দিলেন সন্তানের নিরাপত্তায় টাকা কোনো বিষয়ই না।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের ঘোরাঘুরিসহ বাড়ির পোষ্যদের জন্য যথেষ্ট স্থান সংকুলানের উদ্দেশেই কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে এই গাড়ি কেনেন তিনি।
এদিকে বিলাসবহুল গাড়িটি কেনার পর সেটির ছবি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করে রক্সি লেখেন, এটি দুজন শিশুর জন্য বিশেষ উপহার। সাত আসনের এই গাড়িতে বসতে পারবে বাড়ির পোষ্যরাও।
তার মেয়ে পিক্সিও ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে- চকচকে গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে। তার ছোট্ট ভাইটিও গাড়িটি পাওয়ার আনন্দে লাফাচ্ছে।
পিক্সি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছে, গাড়িটি পেয়ে অনেক অবাক হয়েছি। হঠাৎ করেই মা আমাদের বললো বাড়ির সামনে যেতে। আমি ভেবেছিলাম মনে হয় অর্ডার করা ট্রাম্পোলিনটি (শক্ত ফেব্রিকের গোলাকার বস্তু, যেটাতে স্প্রিং লাগানো থাকে এবং বাচ্চারা তার ওপর উঠে লাফালাফি করে) এসে গেছে। কিন্তু গিয়ে দেখি- নতুন একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। মাকে আগেই মজা করে বলেছিলাম ৭ আসনের মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনে দিতে। কিন্তু মা যে আসলেই কিনে দেবে সেটা বুঝতে পারিনি।
কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে সন্তানদের বিলাসিতার জন্য এই গাড়ি কেনার বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেছেন নেটিজেনরা। ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মন্তব্যে কেউ বলেছেন, এই বিলাসিতা নিতান্তই অপ্রয়োজনীয়। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন অভিনন্দনও।
সূত্র : মিরর অনলাইন
চিরবিদায় নিলো শিল্পা শেঠির ‘প্রথম সন্তান’, শোকে যা করলেন বলিউড অভিনেত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।