জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে এবার মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুই বোনকে সাত শর্তে বাড়িতে সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে রোজিনা খাতুন ও সেলিনা খাতুন। এ নিয়ে তিনটি মামলায় দণ্ডিতদের প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন ওই বিচারক।
বাড়িতে থেকে সাজাভোগের শর্তগুলো হলো-
১। কোনও প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না।
২। শান্তি বজায় রেখে সকলের সঙ্গে সদাচারণ করতে হবে।
৩। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যেকোনও সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে।
৪। কোনও প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না।
৫। একইসঙ্গে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে জীবনযাপনের অবস্থা অবহিত করতে হবে।
৬। প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না। এবং
৭। এর ব্যত্যয় ঘটলে আসামিদের প্রত্যেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড কারাগারে ভোগ করতে হবে।
যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের এপিপি আইয়ুব খান বাবুল জানান, ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা থেকে রোজিনা খাতুনকে ১২ পুরিয়া ও সেলিনা খাতুনকে ১০ পুরিয়া হোরোইনসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলা চলাকালে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্যে আসামিরা হাজিরা দিতে গাফলতি করেননি। এ মামলা ছাড়া তাদের নামে আর কোনও মামলাও নেই। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুণর্বাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।
তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে এ ধরণের তিনটি রায় দিয়েছেন যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।