জুমবাংলা ডেস্ক : বাড়ি তৈরি ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে দেশে এখন সবচেয়ে কম সুদে ঋণ দিচ্ছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)।
উপজেলা সদর, উপজেলা সদরের আশপাশের এলাকা (পেরি আরবান) এবং উপজেলার যেকোনো সমৃদ্ধ এলাকায় (গ্রোথ সেন্টার) কৃষক আবাসন ঋণের সুদ এখন ৭ শতাংশ। আগে তা ছিল ৮ শতাংশ। আর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ছাড়া দেশের যেকোনো এলাকায় পল্লি আবাসন ঋণ, প্রবাসবন্ধু ঋণ, আবাসন উন্নয়ন ঋণ এবং আবাসন মেরামত ঋণের সুদের হার এখন ৮ শতাংশ। আগে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বিএইচবিএফসি ১২ সেপ্টেম্বর সুদের হার কমিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনটি গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর। ১ জুলাইয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব ঋণ মঞ্জুর হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও ৭ ও ৮ শতাংশ সুদের হারই কার্যকর হবে।
বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদা হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। এ চাহিদা পূরণে সীমিত সাধ্য নিয়েও আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আর সে কারণেই নিম্ন আয় শ্রেণির জনগোষ্ঠীর সাশ্রয়ী আবাসনের জন্য সহযোগিতা করতে সুদের হার কমানো হয়েছে।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব ঋণ ১ জুলাইয়ের আগে মঞ্জুর হয়েছে, কিন্তু ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়া ১ জুলাইয়ের পর চলমান ছিল বা রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে গত ৩০ জুন পর্যন্ত আগের সুদের হার এবং ১ জুলাইয়ের পর থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে।
আরও বলা হয়েছে, নতুন হারের সুযোগ নিতে গেলে গ্রাহকদের সব কিস্তি হালনাগাদ থাকতে (আপ টু ডেট) হবে। কোনো গ্রাহক আপ টু ডেট না থাকলে যে তারিখে আপ টু ডেট হবেন, তার পরের মাস থেকে তাঁর ঋণের ক্ষেত্রে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে।
বিএইচবিএফসি এ নিয়ে গত দুই বছরে তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। ২০০৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার অতি উন্নত এলাকা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্যান্য এলাকায় বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদের হার ছিল ১২ শতাংশ।
বিএইচবিএফসি ১১ বছর পর সুদের হার কমিয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর করে ২০১৭ সালের ১ জুলাই। একই দিন থেকে ফ্ল্যাট ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ কার্যকর করা হয়। উভয় ধরনের ঋণের সুদের হার ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে করা হয় ৯ শতাংশ। এ ছাড়া টঙ্গী, সাভারসহ বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে বাড়ি নির্মাণের ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ করা হয়।
বিএইচবিএফসি গৃহ নির্মাণ ও ফ্ল্যাট কেনার ঋণ ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে দ্বিগুণ করেছে। আগে ঋণ পাওয়া যেত ২০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। দুই বছর ধরে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।