আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরাক। দেশটির স্থানীয় আট বাণিজ্যিক ব্যাংকে এ লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতারণা, অর্থপাচার ও অবৈধ ব্যবহার ঠেকানোর লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের এক কর্মকর্তা দেশটিতে সফরে আসার পরপরই এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিদিনের ডলার নিলামে অংশ নিতে পারবে না। আমদানিনির্ভর এ দেশটির অর্থের অন্যতম উৎসকেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলাম। ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ইরানে ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে আটকা রয়েছে। তেল রাজস্ব ও অর্থ লেনদেন নির্বিঘ্ন করতে দেশটি ওয়াশিংটনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যাংকগুলো হলো আশুর ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অব ইরাক, ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইরাক, কুর্দিস্তান ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, আল হুদা ব্যাংক, আল জানুব ইসলামিক ব্যাংক ফর ইনভেস্টমন্টে অ্যান্ড ফাইন্যান্স, আরাবিয়া ইসলামিক ব্যাংক এবং হাম্মুরাবি কমার্শিয়াল ব্যাংক।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের কর্মকর্তাদের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাতে তারা সাড়া দেননি। তবে মার্কিন অর্থ বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, আর্থিক ব্যবস্থায় অপব্যবহার রোধে ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের আমরা প্রশংসা করি।
এর আগে ২০২৩ সালে ১৪টি ব্যাংকে ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইরাক। ওই সময়েও ইরানে ডলার পাচারে কড়াকড়ি রোধের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডলারে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও এসব ব্যাংক অন্য মুদ্রায় লেনদেন অব্যাহত রাখতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।