গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স এক হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, আবারও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতি নিয়ে ভয় থেকেই নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সবাই সোনার দিকে ঝুঁকছে। এ ছাড়া ডলারের দাম পড়ে যাওয়াও আরেকটি কারণ।
বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। আর এ সুযোগেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম।
গতকাল লন্ডনের বাজারে সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স হয় এক হাজার ৮০০.৮৬ ডলার, যা গত সাড়ে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম। এর আগে ২০১১ সালে ইউরোপের অর্থনৈতিক সংকটের সময় স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমালে তখন বিশ্ববাজারে সোনার দাম যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯২১.১৮ ডলার হয়।
এ বছর এরই মধ্যে সোনার দাম বেড়েছে ১৯ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূল্যবান এ ধাতুর দাম এ বছর এক হাজার ৯০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অ্যাকটিভ ট্রেডসের প্রধান বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো ডে ক্যাসা বলেন, ‘এটা নিয়ে খুব বেশি আশ্চর্যান্বিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতার এ সময়ে সত্যিকারে নিরাপদ স্বর্গ যেটি সেটির দাম বাড়ছে। যদিও বিনিয়োগকারীরা এখনো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করছে, কিন্তু তারা সেখানে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না। যেটা রাখা যায় সোনায় বিনিয়োগে।’
মার্কেটস ডটকমের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিল উইলসন বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে প্রণোদনা দিচ্ছে তাতে মূল্যস্ফীতির ভয়ে অনেকে সোনায় বিনিয়োগ করছে।’ এদিকে বিশ্ববাজারে বাড়ায় বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ছে। বর্তমানে দেশে সবচেয়ে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরি প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এএফপি, সিএনএন বিজনেস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।