জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই তরুণী। পুলিশ তাদের উদ্ধার এবং দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার এই উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে আজ মঙ্গলবার।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন- সাতকানিয়ার ইছামতিরকূল এলাকার জাফর আহম্মদের ছেলে মো. দেলোয়ার (২৫) এবং রাউজান উপজেরার রাজামিয়া তালুকদার বাড়ির মো. হানিফ তালুকদারের মেয়ে শাহীন আক্তার (২৪)। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, উদ্ধারকৃত দুই তরুণীর একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে তাদের উদ্ধারের আর্তি জানায়। তারা বাকলিয়া থানা এলাকার কল্পলোক এলাকার একটি বাসায় আটক আছে বলে জানালেও পুরো ঠিকানা দিতে পারছিল না। এরপর জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলে আটক থাকা ভবনের আশপাশের দৃশ্য সম্পর্কে ধারণা নেওয়া হয়। এরপর কৌশলে পুলিশ ওই ভবনটি সনাক্ত করে। এরপর সনাক্তকৃত বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই তরুণীকে উদ্ধার ও তাদের আটক রাখার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দুই তরুণীকে কল্পলোক আবাসিক এলাকার এমিরেটার্স প্যালেস নামক ভবনের একটি ফ্ল্যাটে আটক রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত তরুণীরা জানিয়েছে, তারা কর্ণফুলী ইপিজেডস্থ একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে তারা চাকরি হারায়। এরপর অন্য একজন বান্ধবী তাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে রাকিব নামের একজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেই সূত্রধরে তাদের গত ৩ অক্টোবর রাতে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসা হয়। ফ্ল্যাটে আসার পর তারা বুঝতে পারে, তারা অসৎ ব্যক্তির পাল্লায় পড়েছে। তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর চেষ্টা চলে। এই কারণে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে নিজদের উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তাদের উদ্ধার করার তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।