চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ রিকশাচালক আবদুল হান্নানের ফোন পেয়ে ধর্ষকদের হাত থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ফারুক হোসেন (২৮), আব্দুর রহমান (২৬), আরিফ (২০), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে শান্ত (২৬), আব্দুল খালেক (২১) ও মোহাম্মদ হোসেন (২০)।
পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার গভীর রাতে নগরের খুলশী থানার সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার বাসা থেকে রিকশা করে ষোলশহর এলাকায় খালার বাসায় যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। জিইসি মোড় পার হয়ে বাটাগলির সামনে পৌঁছালে তাকে বহন করা রিকশাটির গতিরোধ করে তিনজন যুবক। তারা তাকে রিকশা থেকে তুলে নিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের নিচে অন্ধকার ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন। পরে আরও তিনজন যুক্ত হয়।
পুলিশকে খবর দেওয়া রিকশাচালক আবদুল হান্নান বলেন, ‘একটা মেয়েকে নিয়ে জিইসি মোড় থেকে দুই নম্বর গেটের দিকে যাচ্ছিল রিকশাটি। কয়েকজন মাদকাসক্ত ছেলে রিকশাটি আটকে রেখে মেয়েটিকে টানাহেঁচড়া করছিল। একটু দূর থেকে দেখে মনে হলো কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে। তাই সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরমধ্যে মেয়েটিকে নামিয়ে তারা ফ্লাইওভারের নিচে অন্ধকারে নিয়ে যায়। রিকশাচালককে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় তারা। চালক আমার সামনে এলে আমি তাকেসহ দাঁড় করাই। পরে পুলিশ এলে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তখন মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে ছয়জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। তরুণীটির ইজ্জত বাঁচাতে পুলিশকে ফোন দিয়েছিলাম।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বলেন, ৯৯৯-এ রিকশাচালকের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।