জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রিফাত ওই নারীর সাবেক প্রেমিক ছিল বলে জানা গেছে। অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে ধর্ষণের সময় তার সাথে আরও দুই সঙ্গী ছিল বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা করলে রিফাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আরও দুই সঙ্গী নিয়ে সাবেক প্রেমিকাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছেন রিফাত হোসেন। গত শনিবার দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর এলকায় অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রিফাতকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্ব পাশে ইটভাটার একটি পরিত্যক্ত ঘরে।
এ ঘটনায় করা মামলার অন্য আসামিরা হলেন- একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, সুমন মিয়া, করিম টেক্সটাইলের নারী শ্রমিক জোৎনা আক্তার ও জরিনা আক্তার।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে ওই নারীর সঙ্গে রিফাতের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। মেয়েটির গর্ভে দের মাসের বাচ্চা ছিল। এরপর রিফাত ফন্দি করে গত ২৪ জানুয়ারি মেয়েটির বান্ধবী জোৎনা ও জরিনাকে দিয়ে কৌশলে দুপুর বেলা ফেক্টরি থেকে ডেকে এনে করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্ব পাশে আইএনসি ইটভাটার একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে জোর করে তিন বন্ধু রিফাত, সাইফুল, সুমন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই সময় জোৎনা ও জরিনা আক্তার তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন। পরে ওই ঘরের পাশ দিয়ে লোকজন যাওয়ার সময় ঘরের ভেতরে ভুক্তভোগীর গুঙানির শব্দ পেয়ে তারা এগিয়ে গেলে জোৎনা ও জরিনা কৌশলে সেখান থেকে সরে যায়। লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করে। তখন অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে রেখে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে তার স্বামী সাব্বিরকে খবর দেয়। তখন সাব্বির এসে তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সাব্বির বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় মামলা করেন।
সেই মামলায় ধামরাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সূয়াপুর থেকে রিফাত হোসেনকে আটক করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়।
সাব্বির হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর গর্ভে বাচ্চা ছিল। এ ঘটনায় বাচ্চটি নষ্ট হয়ে গেছে। যারা এমন অমানবিক কাজ করেছে তাদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।