জুমবাংলা ডেস্ক : ঘরমুখী যাত্রীদের চরম ভোগান্তি আর বিক্ষুব্ধদের বিক্ষোভের বেশ কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের ধীরগতির চলাচলে যানজটে পড়ে নাকাল হন সব যাত্রী। রোববার বিকেল পর্যন্ত এ অবস্থা চলার পর ৫টার দিকে যানজট কেটে গেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বিকেল থেকে। কোথাও কোনো গাড়ি আটকে নেই।
এর আগে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। যানজটে আটকা থেকে এক পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নাটিয়াপাড়া থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত অন্তত ১৫ থেকে ২০টি পয়েন্টে মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
শনিবার রাতে মহাসড়কের রসুলপুর এলাকায় যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়লে মোতালেব নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন জানান, বৃষ্টিপাত ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমতো গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিনভর থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর, দেউহাটা, মির্জাপুর, কাদিমধল্লা, নাটিয়াপাড়া, করটিয়া টাঙ্গাইল শহর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, রসুলপুর ও বঙ্গবন্ধুসেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার গাড়ি আটকে ছিল। তবে রোববার বিকেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুর পশ্চিম প্রান্তে গাড়ি টানতে না পারায় আমাদের এখানে যানবাহন আটকে ছিল। সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় শনিবার ভোর থেকে প্রায় ৮ থেকে ৯ বার টোলপ্লাজা বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, সেতুর পূর্বপ্রান্তেও ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ১২টার পর থেকে ধীরগতিতে যানবাহন চলে। বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বস্তি যাত্রা শুরু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।