জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষ চোরাচালানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙ।
মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই আগ্রহের কথা জানান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ জানান, পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশি, শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ ইস্যুতেও কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে বাংলাদেশকে আলাদা আর্থিক সহায়তা ও বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে অবদান রাখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। এসময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করতে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানুষ চোরাচালানের মতো যৌথ চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তব সমাধানের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। দুদেশের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে দুদেশই উদ্যোগ নেবে বলেও জানান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পেনি ওঙ বলেন, আমরা এই অঞ্চলটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ করার জন্য বাংলাদেশ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার জন্য যা করা প্রয়োজন সেটি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর আগে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন পেনি ওঙ। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
দুদিনের এ সফরে আগামীকাল বুধবার (২২ মে) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে পেনি ওঙয়ের। এদিনই ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।