আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন বুঝতে সদগুরুর ব্যাখ্যা শুনুন। আর সদগুরু বললেন, আমি নয়া নাগরিকত্ব আইন পুরোটা পড়িনি।
এতদিন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরাই বিরোধী শিবির এবং বিক্ষোভে শামিল গোটা দেশের ছাত্রছাত্রীদের ‘উপদেশ’ দিচ্ছিলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন পড়ে দেখুন। যুক্তি ছিল, ছাত্রছাত্রীদের ভুল বোঝানো হয়েছে। তারা আইনে কী রয়েছে, না পড়েই রাস্তায় নেমে পড়েছেন।
সেই ‘আইন না-পড়া’ বিক্ষোভকারীদের দাপটেই অবশ্য পাল্টা প্রচারে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি আজ (৩১ ডিসেম্বর) ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ সদগুরু জগ্গী বাসুদেবের একটি ভিডিও টুইট করেছেন। লিখেছেন, সদগুরু সিএএ জলের মতো ব্যাখ্যা করেছেন, তা শুনে দেখুন।
বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কতটা মরিয়া, তা বোঝা যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা সমালোচনা করছিলেন বলে নোট বাতিলের গুণাগুণ ব্যাখ্যা করতে তিনি বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামিয়েছিলেন। এবার তারাও নারাজ। আবার তিনি নিজেও আইন বোঝাতে পারছেন না। তাই আধ্যাত্মিক গুরুকে দিয়ে নয়া নাগরিকত্ব আইন বোঝাচ্ছেন বলে বিরোধীদের দাবি।
এত দিন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরাই বিরোধী শিবির এবং বিক্ষোভে শামিল গোটা দেশের ছাত্রছাত্রীদের ‘উপদেশ’ দিচ্ছিলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন পড়ে দেখুন। যুক্তি ছিল, ছাত্রছাত্রীদের ভুল বোঝানো হয়েছে। তারা আইনে কী রয়েছে, না পড়েই রাস্তায় নেমে পড়েছে।
সেই ‘আইন না-পড়া’ বিক্ষোভকারীদের দাপটেই অবশ্য পাল্টা প্রচারে নামতে হয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি আজ ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ সদগুরু জগ্গী বাসুদেবের একটি ভিডিও টুইট করে লিখেছেন, ‘সদগুরু সিএএ জলের মতো ব্যাখ্যা করেছেন, তা শুনে দেখুন।’ বিরোধীদের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে কতটা মরিয়া, তা বোঝা যাচ্ছে।
অথচ প্রধানমন্ত্রীর প্রচারিত ভিডিও সদগুরু ২০ মিনিটের বেশি সিএএর গুণাগুণ ব্যাখ্যা করলেও প্রথমেই বলছেন, আমি পুরো আইন পড়িনি। সংবাদপত্র পড়েছি, যা লেখালেখি হচ্ছে, সেগুলো পড়েছি। যদিও সিএএ না পড়েই তিনি বলেছেন, এই আইন সব দেশেই রয়েছে। এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে। আবার ছাত্রছাত্রীদের আইন না পড়েই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য তিরস্কার করতেও ছাড়েননি। পড়ুয়াদের পাথরের খনির শ্রমিকের সঙ্গে তুলনা করে তার মন্তব্য, সবাই বলছে, পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা তো পাথরের খনির শ্রমিকের মতো আচরণ করছে। সবাইকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে।
তার দাবি, এতটা প্রতিক্রিয়া হবে বলে সরকারের ধারণা ছিল না, তাই বেশি পুলিশ নামায়নি। ফলে পুলিশই মার খেয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার মন্তব্য, পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করছেন। তারা শিক্ষিত। তারা পড়ে দেখেছেন, কোনটা ঠিক, কোনটা বেঠিক।
সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরুর পর থেকে গোটা দেশে পুলিশের গুলিতে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করতে নেমে সদগুরুর যুক্তি, পুলিশ ‘সংযম’ দেখিয়েছে। গোলাগুলি ব্যবহার করেনি। না হলে আরও অনেক বেশি সংখ্যায় মৃত্যু হত। পুলিশের লাঠি চালানোকে কার্যত সমর্থন করে তার মন্তব্য, এক জন পাথর ছুড়েছে, অন্য জন ছোড়েনি। পুলিশের হাতে ভিড়ের মধ্যে দু’জনেই মার খাবে। তরুণ-তরুণীদের এই ভিডিও দেখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
তথ্যসূত্র : সময়টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।