মোয়াজ্জেম হোসেন কাওসার: মন খারাপের মিছিল করছি আমরা সবাই। আগস্ট মাস, শোকের মাস। ১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে বাঙালি জাতির জন্য যে অবর্ণনীয় শোকের নদী তৈরি হয়েছিল তা চিরকাল বহমান থাকবে। ২০০৪ সালের আগস্টের ২১ তারিখে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অনেককে এক সাথে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করে সেই একই অপশক্তি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরো জাতি শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পেরেছে। বাংলাদেশ আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে একটি আলোচিত মডেল হয়েছে। ভূ-রাজনৈতিকভাবেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগের স্থান। জাতির পিতার হত্যাকারী ও তাদের দোসরদের দেশি বিদেশি অংশিদারেরাসহ আওয়ামী বিরোধী সেই অপশক্তি আবার বেশি মাত্রায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা বাংলাদেশ নামক দেশটার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা রুখতে চায়। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিএনপির নেতৃত্বে সেই আওয়ামী বিরোধী অপশক্তি নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে সংঘাত মুখিতার দিকেই নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।
অবশ্য সংঘাত ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির বিকল্প কোনও রাজনৈতিক কৌশল তাদের হাতেও নেই। কারণ কোটি মানুষের জন্য রাজনীতি করে তাদেরকে কী দিতে পেরেছে? কী দিতে পারবে? এসব প্রশ্নের বোধগম্য কোন উত্তর আওয়ামী বিরোধীদের নেই। তাদের সম্বল শুধু আওয়ামী বিরোধীতা আর বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের বিরোধীদের ইন্দন দেওয়া। এই অক্ষের বিদেশীরাও খুব বেশি করেই সংঘাত চায়।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ধারা বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু সংঘাত সামনের সময়ে অনিবার্য। যার মূল কারণ রাজনৈতিক অক্ষশক্তি গুলোর সম্পূর্ণ বিপরীত মূখী অবস্থান। সংঘাতের মাত্রা ও চরিত্র নির্ভর করবে সংঘাত বিরোধী প্রতিক্রিয়ার উপর।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথে জনগনকে সাথে নিয়েই যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে। সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রতিরোধ করার কোনও বিকল্প আওয়ামী লীগেরও থাকবেনা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সক্ষমতা ব্যবহার করবে দেশের ও দলের স্বার্থে। গুজব ছড়িয়ে অপঘাতমূলক কৌশল ব্যবহার করে অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় পরিস্থিতি যে বা যারা কিংবা যাদের প্ররোচনাতেই করেন না কেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সার্বিক রাজনৈতিক সামর্থকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।
বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সার্বিক রাজনৈতিক সামর্থ্যের মধ্যমণি জননেত্রী শেখ হাসিনা, এই বিষয়টাও গভীরভাবে ভাবতে হবে তাদের। জনগনের দুঃখ ঘোচানোর রাজনীতিতে তিনি এখন পুরো বিশ্বের জন্য মডেল। দেশবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে যিনি অনন্য উচ্চতায় আছেন। আগস্টের শোক ও আঘাতের কষ্ট বুকে বেঁধে রেখে নিরলসভাবে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আওয়ামী বিরোধী অক্ষশক্তি সব জেনেও রাজনৈতিক ও অপঘাতমূলক সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং করবে। আওয়ামী লীগ যে কোনও মূল্যে তা প্রতিরোধ করবে। তার মানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংঘাতময়তার দিকেই যাবে বলে ধারণা করা যায়। রাজনৈতিক সংঘাত অবশ্যম্ভাবী যখন, প্রতিরোধ কৌশলই সংঘাতের সময় চরিত্রের নির্ধারকের ভূমিকা নিবে তখন। দেশের আপামর জনসাধারণের কল্যাণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগনকে সাথে নিয়ে সেই রাজনৈতিক কূটকৌশলী চ্যালেন্জ মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে সচল রাখবে ইনশাআল্লাহ। এটাই শোকাবহ আগস্টের দৃঢ় প্রত্যয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন কাওসার: সদস্য, তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।