আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর থেকে দেশটি থেকে প্রায় এক লাখ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউজের এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি’র।
টুইট বার্তায় হোয়াইট হাউজ জানায়, ১৪ আগস্ট থেকে ৯৫ হাজার সাত শ’ লোককে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্যে বুধবার ১৩ হাজার চার শ’ জনকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালেবান যোদ্ধাদের প্রবেশের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেশটি থেকে তার নাগরিকসহ বিদেশী নাগরিক ও দেশত্যাগে ইচ্ছুক আফগান নাগরিকদের বের করে নেয়া শুরু করে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকার পিছু হটে।
তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে।
দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দখলের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় ওয়াশিংটন। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালেবান সম্মত হয়।
চুক্তি অনুসারে ক্ষমতাসীন থাকা মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকারের সমঝোতার জন্য তালেবান চেষ্টা করলেও দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাতে শুরু করে তালেবান। মে থেকে অভিযান শুরুর পর সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের অধিকার নেয় তালেবান যোদ্ধারা।
কাবুল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য দেশটির বিপুল সংখ্যক নাগরিক কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে। বিমানবন্দরের ভিড়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সূত্রে জানা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।