জুমবাংলা ডেস্ক: সাভারের আলমনগর এলাকায় অবৈধভাবে সীমানা পিলার স্থাপনের মাধ্যমে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে যমযম নূর সিটি নামক আবাসন কোম্পানির মালিক নূর মোহাম্মদ ও তাঁর কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও দখলে বাঁধা দেয়ায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে নিয়ে পাশর্^বর্তী সুগন্ধা হাউজিং কোম্পানীর মালিক ও কর্মচারীদের মারধর, গাড়ি ভাংচুর ও নগদ টাকা লুটের অভিযোগে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুগন্ধা হাউজিংয়ের জমির মালিক খোশনে আরা বেগম। হামলায় আহতরা হলেন- লিখিত অভিযোগের বাদি খোশনে আরা বেগমের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান (৩৮), তাদের গরুর ফার্মের স্টাফ জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টো (৫৬), লেবার জাকির হোসেন (২০), ইব্রাহিম শেখ (৩৪) এবং গরুর ফার্মের গার্ড সুরুজ মিয়া (৪৬)।
অন্যদিকে অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলো- সাভারের বলিয়াপুর এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে নূর মোহাম্মদ (৫০), হোসেন আলীর ছেলে মোঃ রুহুল (৩৮), আজিজের ছেলে মোঃ ইমন (৩০), জয়নালের ছেলে বাবু (২৭), আঃ হকের ছেলে বিশ^ (২৮), ইয়াসিনের ছেলে হোসেন (৩৬), সালাউদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫), আউয়ালের ছেলে লাভলু (৩৩) ও সিরাজের ছেলে সোহেলসহ (২৮) অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ জন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী খোশনে আরা বেগম সাভার উপজেলার চান্দুলিয়া মৌজার আর.এস ৩৯,৪০, ৬২ ও ৬৩ নং দাগে ৩০৫ শতাংশ জমি খরিদ করে সিমানা নির্নয় পূর্বক দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অভিযুক্ত যমযম নূর সিটি আবাসন কোম্পানির মালিক নূর মোহাম্মদসহ অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনিভাবে সুগন্ধা হাউজিংয়ে প্রবেশ করে সিমানা পিলার স্থাপনের চেষ্টা করে। এসময় খোশনে আরার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের নূর মোহাম্মদ চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মনিরুজ্জামানের মাথায় কোপ দেয়। এসময় তাকে বাঁচাতে তাদের গরুর ফার্মের স্টাফ জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টো, লেবার জাকির হোসেন, ইব্রাহিম শেখ, এবং গার্ড সুরুজ মিয়া এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধরক মারধর করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে খোশনের আরা বেগমে ভাই জাহাঙ্গীর আলম জিতুর মালিকানাধীন কালো রংয়ের সিআরবি পাজারো গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-৯৮৩৩) ভাংচুর করে এবং ভিতরে জমি বায়না করার জন্য রাখা ৫০ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম জিতু বলেন, যমযম নূর সিটির মালিক নূর মোহাম্মদ রাতের আধাঁরে আমাদের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করে পিলার স্থাপনের চেষ্টা চালিয়েছে। আমার ভাই মনিরুজ্জামান বাঁধা দিলে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে আমার ভাইকে বাঁচাতে কয়েকজন কর্মচারী এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও এলোপাথারি মারধর করে। বর্তমানে মনিরুজ্জামানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে এবং গরুর ফার্মের স্টাফ ভুট্টোকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎ দেয়া হচ্ছে। বাকীদেরকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে যমযম নূর সিটির ম্যানেজার মোঃ শাহজামাল গাজী বলেন, আমাদের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ সার্ভেয়ার নিয়ে জমি পরিমাপ করতে গেলে পার্শ্ববর্তী সুগন্ধা হাউজিং কোম্পানির পরিচালক জাকিরের নেতৃত্বে মনির, মোতালেব, রফিক, তরিকুল, সুজন ও শফিকসহ অজ্ঞাত শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা আমাদের সীমানায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এঘটনায় যমযম নূর সিটির ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল রাশিদ বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।