আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে ভারতের হুগলির একটি কলেজে ভর্তি হন পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের হৃষীক কোলে। পরে জেভিয়ার্সে পদার্থবিদ্যা পড়ার সুযোগ পেয়ে কয়েক দিন আগেই এই কলেজে ভর্তি হন।
শুধু ইংরেজি ও হিন্দি ভালো না জানায় এবং শহুরে আদব-কায়দার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে বসেন এই মেধাবী কলেজছাত্র।
আনন্দবাজার জানায়, বৃহস্পতিবার হৃষীকের দেহ পাওয়া যায় বেলুড়ের কাছে রেললাইনে। মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় হৃষীকের পরিবার মরদেহটি হৃষীকের বলে শনাক্ত করে।
হৃষীকের বাবা রতিকান্ত কোলের বক্তব্য, ছেলে শহুরে আদব-কায়দা এবং ইংরেজি ভালো না জানায় ক্লাসে মানিয়ে নিতে পারছিল না। তাই কিছুটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
রেল পুলিশ জানায়, পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন বলে সুইসাইড নোটে লিখেছেন হৃষীক।
সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যক্ষ ফাদার ডমিনিক স্যাভিও বলেন, “হোস্টেল সুপারের কাছে হৃষীকের সমস্যার কথা শুনেছিলাম। তবে এনিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলার আগেই যে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যাবে সেটা ভাবতে পারেনি। আমরা মর্মাহত।”
সিঙ্গুরের অপূর্বপুরের সাধুখাঁপাড়ার বাসিন্দা হৃষীক কোলে। জেভিয়ার্সে পদার্থবিদ্যা পড়ার সুযোগ পেয়ে কয়েক দিন আগেই এই কলেজে ভর্তি হন। রবিবার জেভিয়ার্সের হোস্টেলে উঠে দুদিন ক্লাসও করেন বলে পুলিশকে জানান বাবা রতিকান্ত কোলে।
পুলিশ জানায়, হৃষীক বৃহস্পতিবার সকালে হোস্টেলের রুমমেটকে বলেছিলেন, সহপাঠীরা ক্লাসে ইংরেজি আর হিন্দিতে কথা বলায় তিনি মানাতে পারছেন না। তার পরেই বালতি কেনার নাম করে তিনি হোস্টেল থেকে বের হন।
পরে কলেজে যাননি, হোস্টেলেও ফেরেননি হৃষীক। হোস্টেল সুপার জোসেফ কুলান্ডি রাতেই হৃষীকের স্থানীয় অভিভাবক এবং সিঙ্গুরের বাড়িতে ফোন করেন। কিন্তু হৃষীক ওই দুই জায়গায় যাননি শুনে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ বেনিয়াপুকুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
শুক্রবার হৃষীকের বাবা লালবাজারে গোয়েন্দা প্রধানের কাছে গিয়ে জানান, বাংলা মাধ্যমে পড়লেও হৃষীক খুবই মেধাবী ছিলেন। অঙ্কে খুব ভালো হলেও এক শিক্ষকের কথায় জেভিয়ার্সে পদার্থবিদ্যায় অনার্সে ভর্তি হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।