আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে রুশ বাহিনী বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের স্থল, আকাশ ও নৌপথে হামলা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের কোনো একটি দেশের ওপর আরেকটি দেশের এত বড় হামলা এই প্রথম।
হামলা শুরুর পরপরই ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু হয়। রাজধানী কিয়েভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইউক্রেন রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি শহরে হামলা করার পর তা প্রতিহত করার সময় প্রায় ৫০ জন ‘দখলদার রাশিয়ান’ নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করতে ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্রদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অ্যান্টি মিসাইল ব্যবস্থা এবং রাশিয়া যাতে স্যাটেলাইট সংকেত না পায়, তার জন্য জ্যামার চেয়েছে। চাহিদার একটি তালিকা ইইউ নেতাদের কাছে পাঠিয়েছে ইউক্রেন।
বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য দেশগুলোর বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। ইউক্রেন ইইউ কর্তৃপক্ষের কাছে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী কী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, তা নির্ধারণ করবেন। এছাড়া বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি–৭–এর মন্ত্রীরাও বৈঠকে বসবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।