রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত টানা আক্রমণে ৮০০-র বেশি ড্রোন, চারটি ব্যালিস্টিক ও নয়টি ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করে মস্কো।
এই হামলায় রাজধানী কিয়েভে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারি ভবনে আঘাত হানে রুশ ড্রোন। এতে এক শিশু ও এক তরুণীসহ অন্তত দুজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
কিয়েভে টানা ১১ ঘণ্টা বাজতে থাকে বিমান হামলার সাইরেন। এক পর্যায়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় স্ভিয়াতোশিনস্কি এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে এক বছরেরও কম বয়সী শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই এলাকায় নয়তলা একটি আবাসিক ভবনের চারতলা ধসে পড়ে। আরও কয়েকটি বহুতল ভবনে আগুন ধরে যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘অনেক আগেই বাস্তব কূটনীতি শুরু হতে পারত। এখন এই হত্যাকাণ্ড কেবল যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে। বিশ্ব চাইলে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি দিয়েই মস্কোকে থামাতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেঙ্কো জানান, কিয়েভ ছাড়াও ক্রিভি রিহ, দিনিপ্রো, ক্রেমেনচুক ও ওডেসা শহর আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারি ভবনের ছাদ ও ওপরের তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।’
হামলার একই রাতে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা রাশিয়ার ব্রিয়ান্সক ও দক্ষিণ ক্রাসনোদার অঞ্চলে দুটি জ্বালানি স্থাপনায় পাল্টা আঘাত করেছে। এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেনিস শ্মিগাল জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে দেশজুড়ে বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার ও রাশিয়ার ভেতরে পাল্টা আক্রমণ সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হবে।
হামলার কারণে পশ্চিম ইউক্রেনের আকাশসীমা বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় পোল্যান্ড ও মিত্রদেশের যুদ্ধবিমান সতর্ক অবস্থায় উড়তে শুরু করে। পোলিশ সেনারা জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার পর্যবেক্ষণ সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।