জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে উভয় নেতা অভিবাসন নিয়ে আলোচনা করেছেন। একইসঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি যেন বৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার ও কাজের সুযোগ পায় সেই আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সাথে বৈঠক করেছেন, সেখানে তারা অভিবাসী ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পথ অবলম্বন করেন, তাই ড. ইউনূস বৈধ বা আইনি উপায় খোঁজার কথা জানিয়েছেন। যাতে আরও বেশি বাংলাদেশি ইতালিতে গিয়ে কাজ করতে পারেন।’
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মেলোনিকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ কথা জানিয়েছেন বাইডেন।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ২০২৪-এর সভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে একই মঞ্চে বক্তৃতা করেন।
ইউএনজিএ অধিবেশনের ফাঁকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইডইভেন্টেও যোগ দেন।
পরে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি।
আগের দিন অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।