বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির হঠাৎ করেই জনপ্রিয় হয়নি; ১৯৭৭ সাল থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের কাছে ইসলামের আহ্বান পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।”
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাগর আহমেদ।
জাহিদুল ইসলাম জানান, “জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২৩৪ জন কর্মী শাহাদাতবরণ করেছেন, শত শত কর্মী গুম হয়েছেন। ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়াকে একসময় গুমের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। এখনো সাতজন ভাই নিখোঁজ। এত নির্যাতনের পরও আমরা আদর্শ থেকে সরে আসিনি, বরং ছাত্রসমাজের কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির বড় ধরনের বিজয় অর্জন করেছে। ছাত্রসমাজের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়েছে। আমরা উল্লাস করিনি—আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। আমাদের এই বিজয় তখনই অর্থবহ হবে, যখন শিক্ষার্থীদের জীবনে উন্নয়নের বাস্তব পরিবর্তন আনতে পারব।”
কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, “একসময় ছাত্র রাজনীতি মানেই ছিল চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সহিংসতা। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্ররা এখন সেই রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা চাই, ছাত্র রাজনীতি হোক সেবামূলক, শিক্ষাবান্ধব ও কল্যাণমুখী—যেমন উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে দেখা যায়।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, আর তা গণভোটের মাধ্যমে করা শ্রেয়। আমরা প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই, তবে তা যেন জাতীয় নির্বাচনের প্রভাবে না পড়ে।
সভাটি পরিচালনা করেন সংগঠনটির জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আমিরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াত মনোনীত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মুসা।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা সভাপতি হুমায়ুন কবির শান্ত, মো. আরিফুল ইসলাম, জেলা অফিস সম্পাদক হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, জেলা অর্থ সম্পাদক বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা সাহিত্য সম্পাদক আবু রায়হান, জেলা দাওয়াহ সম্পাদক পারভেজ আলমসহ বিভিন্ন থানার সভাপতি ও পাঠচক্র সদস্যবৃন্দ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



