ধর্ম ডেস্ক : ইসলাম একমাত্র জীবনব্যবস্থা, যার ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে একটা বৃহৎ সমাজ গঠনের সব উপাদান ইসলামে আছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে আরব বা মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের সঙ্গে ইহুদি খ্রিস্টানদের অবাধ চলাফেরা ও সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এমনকি আরব মুসলমানদের মাঝে ইহুদি খ্রিস্টান পরিবারে বিয়ে প্রায়ই হয়ে থাকে।
এ সম্পর্কে সুরা মায়েদার ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মুমিন সতীসাধ্বী নারী ও আহলে কিতাবের সতীসাধ্বী নারী তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো’।
অর্থ্যাৎ কুরআনে আহলে কিতাবের অনুসারীদের মেয়েদের সঙ্গে মুসলমান পুরুষের বিয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, যারা প্রকৃত আহলে কিতাবের অনুসারী তাদের সঙ্গে মুসলমানের বিয়ে জায়েজ। তবে প্রকৃত আহলে কিতাব অনুসারী হতে হবে। যেহেতু ইঞ্জিল ও তওরাত বিকৃত বা সংশোধন হয়েছে, তাই প্রকৃত আহলে কিতাবের অনুসারী এখন পাওয়া খুবই দুষ্কর। তবে প্রকৃত আহলে কিতাব যদি এখনও কেউ অনুসরণ করে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে বিয়ে জায়েজ। যেহেতু কুরআন ছাড়া বাকি আহলে কিতাব বিকৃত বা সংশোধন হয়েছে যা সবাই স্বীকার করে তাই প্রকৃত আহলে কিতাবের অনুসারী নেই বলেই মনে হয়। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আছে তাই এসব বিয়ে থেকে দূরে থাকাই উত্তম।
আহলে কিতাব ছাড়া অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈবাহিক সম্পর্ক বৈধ নয়। সুতরাং প্রচলিত হিন্দু, বৌদ্ধ, বাহায়ি, শিখ ও কনফুসীয় ধর্ম আসমানি ধর্ম হওয়ার বিষয়টি অকাট্যভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এসব ধর্মের অনুসারীরা আহলে কিতাব হিসেবে গণ্য হবে না।
তাই তাদের সঙ্গে মুসলিম নারী ও পুরুষের কোনো ধরনের বিয়ে বৈধ নয়।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক (বহু স্রষ্টায় বিশ্বাসী) নারীকে বিয়ে কোরো না, যদিও মুশরিক নারী তোমাদের মুগ্ধ করে। ঈমান না আনা পর্যন্ত তোমরা মুশরিক পুরুষের সঙ্গে (তোমাদের নারীদের) বিয়ে দিয়ো না, যদিও মুশরিক পুরুষ তোমাদের মুগ্ধ করে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২১)
অন্য আয়াতে এসেছে, তোমরা কাফির নারীদের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না।’ (সুরা : মুমতাহিনা, আয়াত : ১০)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।