Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা: সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা: সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রণ

লাইফস্টাইল ডেস্কMd EliasJuly 20, 20258 Mins Read
Advertisement

মেঘনা নদীর তীরে বেড়ে ওঠা রফিকুল ইসলাম (৫২) গত মাসে হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ক্লিনিকে গিয়ে জানা যায়, তার রক্তচাপ ১৮০/১১০ মিমি পারদ! চিকিৎসক সতর্ক করলেন, ওষুধ ছাড়াও জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন না আনলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে। রফিক ভাবলেন, শুধু ওষুধেই কি সমাধান? নাকি উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রাকৃতিক উপায়েও কিছু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? রফিকের মতো অসংখ্য বাংলাদেশীর আজকের এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা – কিভাবে সহজ, প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে এই নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, তা জানার জন্য।

বাংলাদেশে প্রতি ৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ১ জন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন (জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ২০২৩)। শহর থেকে গ্রাম, অফিস থেকে কৃষিক্ষেত – এই সমস্যা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেকেই ভয় বা অসচেতনতায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন না, অথবা ওষুধ খাওয়া শুরু করেও সঠিক জীবনাচরণ মেনে চলছেন না। কিন্তু এই নীরব ঘাতক ধীরে ধীরে ক্ষতি করে যায় হৃদযন্ত্র, কিডনি, মস্তিষ্ক ও চোখের। তবে আশার কথা হলো, ওষুধের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা ও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকাংশেই সম্ভব।

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা: জীবনধারা পরিবর্তনই প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা বলতে প্রথমেই আসে জীবনযাত্রায় গুণগত পরিবর্তন। এগুলো কোনো এককালীন ব্যবস্থা নয়, বরং দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।

  • লবণ (সোডিয়াম) নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ রক্তচাপ বাড়ানোর অন্যতম প্রধান কারণ।

    • কী করবেন?
      • রান্নায় লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। ধীরে ধীরে স্বাদ অভ্যস্ত করুন।
      • প্রক্রিয়াজাত খাবার (চিপস, নুডলস, প্যাকেটজাত স্যুপ, আচার, সস, বেকারি আইটেম), ফাস্ট ফুড, রেস্টুরেন্টের খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে লুকানো লবণের পরিমাণ বিপজ্জনক।
      • টেবিলে আলাদা নুনদানি রাখবেন না।
      • লেবুর রস, ভিনেগার, তাজা হার্বস (ধনেপাতা, পুদিনা, থানকুনি পাতা), মসলা (হলুদ, মরিচ, জিরা) দিয়ে খাবারে স্বাদ বাড়ান।
    • লক্ষ্য: দিনে সর্বোচ্চ ১ চা চামচ লবণ (৫ গ্রাম বা ২০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর সুপারিশ অনুযায়ী।
  • ড্যাশ ডায়েট অনুসরণ: ড্যাশ (DASH – Dietary Approaches to Stop Hypertension) ডায়েট উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। এর মূলনীতি:

    • প্রচুর ফলমূল (কলা, কমলা, আপেল, বরই – পটাশিয়াম সমৃদ্ধ) ও শাকসবজি (পালং শাক, লাউ শাক, ঢেঁড়স, বেগুন) খান।
    • গোটা শস্য (লাল চালের ভাত, ওটস, গমের রুটি) প্রাধান্য দিন।
    • চর্বিহীন প্রোটিন (মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ, মুরগির বুকের মাংস, ডাল, বীনস)।
    • কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত দ্রব্য (টক দই, লো ফ্যাট দুধ)।
    • বাদাম ও বীজ (সীমিত পরিমাণে – কাজু বাদাম, আখরোট, তিল)।
    • সম্পৃক্ত চর্বি (ঘি, মাখন, চর্বিযুক্ত মাংস) এবং ট্রান্স ফ্যাট (বেকারি পণ্য, ভাজা খাবার) এড়িয়ে চলুন।
    • মিষ্টি ও চিনিযুক্ত পানীয় কমান।
  • নিয়মিত শারীরিক সক্রিয়তা: সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম (যেমন: দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাতার কাটা) বা ৭৫ মিনিট জোরালো ব্যায়াম (যেমন: দৌড়ানো, ফুটবল খেলা) জরুরি।

    • শুরু করুন ধীরে: দিনে ৩০ মিনিট হাঁটুন, সেটা একবারে বা ১০-১৫ মিনিটের দুই-তিন ভাগে।
    • সিঁড়ি ব্যবহার করুন, ছোট দূরত্ব হেঁটে যান।
    • যোগব্যায়াম ও ধ্যান শুধু স্ট্রেসই কমায় না, নমনীয়তা ও ভারসাম্যও বাড়ায়। সূর্য নমস্কার, অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম বিশেষ উপকারী।
  • ওজন ব্যবস্থাপনা: অতিরিক্ত ওজন, বিশেষ করে কোমরের চারপাশে চর্বি জমা, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন ৫-১০% কমানোর চেষ্টা করলেও রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে।

  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্তচাপ বাড়ায়। অ্যালকোহলও রক্তচাপ বাড়াতে পারে। পুরোপুরি বর্জনই শ্রেয়।

  • মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা (স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট): দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়ানোর অন্যতম নেপথ্য কারণ।
    • গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (ডায়াফ্রাগমাটিক ব্রিদিং) করুন। দিনে কয়েকবার ৫-১০ মিনিট করে।
    • প্রতিদিন ধ্যান বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। মোবাইল অ্যাপসও সাহায্য করতে পারে।
    • পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা) নিশ্চিত করুন।
    • শখের কাজে (গান শোনা, বাগান করা, বই পড়া) সময় দিন।
    • সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন, প্রিয়জনের সাথে কথা বলুন।

প্রাকৃতিক উপাদান ও হার্বাল সহায়ক: গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা তে প্রাচীনকাল থেকেই কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণাও কিছুটার কার্যকারিতা সমর্থন করে, তবে এগুলো ওষুধের বিকল্প নয়, সহায়ক মাত্র। ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, বিশেষ করে যদি আপনি ওষুধ খান।

  • রসুন (Garlic): রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রক্তনালী শিথিল করতে এবং সামান্য রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    • কীভাবে ব্যবহার করবেন? প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে বা থেঁতো করে পানি দিয়ে গিলে খাওয়া যায়। রান্নায় প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করুন। স্ট্যান্ডার্ডাইজড রসুনের সাপ্লিমেন্ট (প্রায় ৬০০-১২০০ মিগ্রা, যাতে ৩.৬-৫.৪ মিগ্রা অ্যালিসিন থাকে) নেওয়া যেতে পারে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে। কিছু গবেষণার রিভিউ রসুনের ইতিবাচক প্রভাব দেখিয়েছে।
  • হিবিস্কাস চা (লাল চা/জবা ফুলের চা): হিবিস্কাস ফুলে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

    • কীভাবে ব্যবহার করবেন? শুকনো হিবিস্কাস ফুল (১-২ চা চামচ) গরম পানিতে ৫-১০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে চা বানান। দিনে ১-২ কাপ পান করুন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য দারুচিনি বা লেবুর রস মেশাতে পারেন। ক্লিনিক্যাল স্টাডিজে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।
  • বিটরুটের রস: বিটরুটে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট থাকে, যা শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

    • কীভাবে ব্যবহার করবেন? তাজা বিটরুট ব্লেন্ড করে রস বানিয়ে দিনে প্রায় ২৫০ মিলি (এক গ্লাস) পান করুন। স্বাদ কড়া মনে হলে গাজর বা আপেলের রসের সাথে মিশিয়ে নিন। গবেষণায় এর কার্যকারিতা লক্ষ্য করা গেছে।
  • কলা ও অন্যান্য পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: পটাশিয়াম রক্তে সোডিয়ামের প্রভাব কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

    • কী খাবেন? কলা, কমলা, আলু (সিদ্ধ বা বেকড, বিশেষ করে খোসাসহ), মিষ্টি আলু, পালং শাক, টমেটো, ডাল, বাদাম, দই, মাছ। লক্ষ্য রাখুন কিডনির সমস্যা থাকলে পটাশিয়াম গ্রহণের মাত্রা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করতে হবে।
  • আদা ও দারুচিনি: এদের প্রদাহরোধী ও রক্তনালী শিথিলকারী প্রভাব থাকতে পারে। রান্নায় বা চায়ে নিয়মিত ব্যবহার উপকারী হতে পারে।

  • অশ্বগন্ধা ও ব্রাহ্মী (জ্ঞান বৃদ্ধিকারক): আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত এই ভেষজগুলো স্ট্রেস কমিয়ে পরোক্ষভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। তবে এগুলো ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

গুরুত্বপূর্ণ মনে রাখবেন: এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে কাজ করতে পারে, তবে প্রত্যেকের শরীরের প্রতিক্রিয়া আলাদা। কোনোটি আপনার জন্য কার্যকর নাও হতে পারে বা অন্য ওষুধের সাথে রিয়্যাকশন করতে পারে (যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধের সাথে রসুনের ইন্টারঅ্যাকশন হতে পারে)। তাই স্ব-চিকিৎসা নয়, চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবহার নিরাপদ।

পর্যবেক্ষণ, সচেতনতা ও চিকিৎসকের ভূমিকা: ঘরোয়া চিকিৎসার সফলতার চাবিকাঠি

উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা বা জীবনযাত্রার পরিবর্তন কতটা কাজ করছে, তা জানার একমাত্র উপায় নিয়মিত রক্তচাপ মাপা।

  • বাড়িতে রক্তচাপ মাপা:

    • একটি ভালো মানের, বাহুর উপর পরা হয় এমন ডিজিটাল বা ম্যানুয়াল BP মেশিন কিনুন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) বাড়িতে BP মাপার নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।
    • একই সময়ে (সাধারণত সকালে ও সন্ধ্যায়), একই হাতে, বিশ্রামের পর বসে মাপুন।
    • রেকর্ড রাখুন একটি ডায়েরি বা মোবাইল অ্যাপে। চিকিৎসককে দেখান।
    • লক্ষ্য রাখুন: সাধারণত ১৩০/৮০ মিমি পারদের নিচে রাখার চেষ্টা (চিকিৎসক ভেদে লক্ষ্যমাত্রা ভিন্ন হতে পারে)।
  • নিয়মিত চেক-আপ ও ওষুধের গুরুত্ব:

    • জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসক প্রেসক্রাইব করলে তা নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবন করুন। কখনোই নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করবেন না বা মাত্রা পরিবর্তন করবেন না।
    • ঘরোয়া পদ্ধতি শুরু করার আগে ও চলাকালীন নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। আপনার অগ্রগতি, রক্তচাপের রেকর্ড ও কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা জানান।
    • বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ হেলথ চেক-আপ করান (লিপিড প্রোফাইল, কিডনি ও লিভার ফাংশন টেস্ট, ইসিজি ইত্যাদি)।
  • পরিবার ও সমাজের ভূমিকা: উচ্চ রক্তচাপের ব্যবস্থাপনা শুধু ব্যক্তিগত নয়, পারিবারিক ও সামাজিক সহযোগিতাও দরকার। পরিবারের সদস্যরা একসাথে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, হাঁটতে যাওয়া, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টে উৎসাহ দেওয়া – এসবই রোগীকে অনুপ্রাণিত করে।

জেনে রাখুন (FAQs)

১. উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা কি ওষুধ ছাড়াই সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব করে?
না, উচ্চ রক্তচাপ সাধারণত একটি দীর্ঘমেয়াদী (ক্রনিক) অবস্থা। জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও ঘরোয়া পদ্ধতি রক্তচাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে এবং অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা বা মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে অনেক রোগীর জন্য ওষুধ সেবন চালিয়ে যাওয়া আবশ্যক। ঘরোয়া চিকিৎসা প্রাথমিক অবস্থায় বা ঝুঁকি কমাতে কার্যকর, কিন্তু ওষুধের বিকল্প নয়।

২. রসুন বা হিবিস্কাস চা খেলে কতদিনে রক্তচাপ কমবে?
প্রাকৃতিক উপাদানের প্রভাব ধীরে ধীরে দেখা দেয় এবং ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয়। রসুন বা হিবিস্কাসের প্রভাব টের পেতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে। ধৈর্য ধরে নিয়মিত সেবন করতে হবে। এগুলোর প্রভাব সাধারণত ওষুধের মতো তীব্র বা তাৎক্ষণিক নয়। রক্তচাপের রেকর্ড রাখা জরুরি।

৩. উচ্চ রক্তচাপের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতি কোনটি?
একক কোনো পদ্ধতি নয়, বরং সমন্বিত জীবনযাত্রার পরিবর্তনই সবচেয়ে কার্যকর। এর মধ্যে লবণ কমানো, ফল-শাকসবজি বেশি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম (বিশেষ করে হাঁটা), ওজন নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান-মদ্যপান ত্যাগ এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট – এই উপাদানগুলো একসাথে কাজ করলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো এর পরিপূরক।

৪. ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ খাওয়া কি নিরাপদ?
সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান নির্দিষ্ট ওষুধের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন করতে পারে (যেমন রক্ত পাতলাকারী ওষুধের সাথে রসুন বা আদা)। তাই কোনো প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট বা হার্বাল থেরাপি শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসককে জানান। তিনি আপনাকে নিরাপদ উপায় বাতলে দিতে পারবেন।

৫. উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কোন ধরনের ব্যায়াম সবচেয়ে ভালো?
এ্যারোবিক বা কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য সর্বোত্তম। যেমন: দ্রুত হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং, সাতার কাটা, নাচ। সপ্তাহে ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি তীব্রতার এ্যারোবিক ব্যায়াম লক্ষ্য রাখুন। শক্তি প্রশিক্ষণ (ওয়েট লিফটিং)ও উপকারী, তবে সঠিক ফর্মে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শুরু করুন।

৬. স্ট্রেস কমাতে দৈনন্দিন জীবনে কোন সহজ কৌশলগুলো কাজে লাগাতে পারি?
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট গভীর শ্বাস নিন (৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন, ৬ সেকেন্ডে ছাড়ুন)। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন। পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা) নিশ্চিত করুন। প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান, হালকা মিউজিক শুনুন, প্রকৃতির কাছে সময় কাটান। “না” বলতে শিখুন।


উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা শুধু কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা নয়; এটি আপনার প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস, চলাফেরা, চিন্তাভাবনা ও বিশ্রামের এক সামগ্রিক পুনর্বিন্যাসের আহ্বান। রফিকুল ইসলাম আজ সকালের নাস্তায় ডিমের সাদা অংশ আর শাকসবজি খেয়েছেন, দুপুরে লাল চালের ভাতের সাথে মাছ ও প্রচুর সবজি, বিকেলে এক মুঠো কাঁচা বাদাম আর সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে হাঁটতে গেছেন। তার রক্তচাপ এখন ১৩৫/৮৫ এর আশেপাশে, ওষুধের মাত্রাও কিছুটা কমানো গেছে। মনে রাখবেন, এই নিয়ন্ত্রণ একদিনের লড়াই নয়, আজীবনের যাত্রা। প্রতিটি কম লবণের খাবার, প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি গভীর শ্বাস – আপনার হৃদযন্ত্রকে বলছে “ধন্যবাদ”। তাই আজই শুরু করুন – আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন, আর সুস্থ জীবনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোন।


জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
>ঘরোয়া উচ্চ উচ্চ রক্তচাপের ঘরোয়া চিকিৎসা উপায়ে! চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপের লাইফস্টাইল সহজ
Related Posts
কালো দাগ দূর

৭ দিনের মধ্যে মুখের কালো দাগ দূর করার দুর্দান্ত উপায়

December 21, 2025
গায়ের রং

গর্ভাবস্থায় এই ৭টি খাবার খেলে বাচ্চার গায়ের রং হবে ফর্সা

December 21, 2025
মেয়ে

পুরুষের যে কথাগুলোতে দুর্বল হয়ে যায় মেয়েরা

December 21, 2025
Latest News
কালো দাগ দূর

৭ দিনের মধ্যে মুখের কালো দাগ দূর করার দুর্দান্ত উপায়

গায়ের রং

গর্ভাবস্থায় এই ৭টি খাবার খেলে বাচ্চার গায়ের রং হবে ফর্সা

মেয়ে

পুরুষের যে কথাগুলোতে দুর্বল হয়ে যায় মেয়েরা

Mettar

বাসায় নতুন বিদ্যুৎ মিটার নিতে চাইলে জানুন আবেদন প্রক্রিয়া

সম্পর্ক ভালো

সম্পর্ক ভালো রাখতে প্রতিদিন যে কথাগুলো বলা জরুরি

ডা.-আয়েশা-আক্তার

জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি সবচেয়ে নিরাপদ

Passport

পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন

adultery

পরকীয়া করার প্রবণতা কাদের সবচেয়ে বেশি

Arthin

আর্থিং তারের ভুল সংযোগের কারণে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল

দীর্ঘতম রাত

বছরের দীর্ঘতম রাত আজ, কাটাতে পারেন যেভাবে

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.