লাইফস্টাইল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন অসুখের কারণে হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হৃৎপিণ্ডে যখনই রক্ত সরবরাহ কমে বা থেমে যায় তখন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের বাল্বজনিত সমস্যা ও অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনও হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়।
নানাবিধ কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এর মধ্যে কিছু প্রতিরোধও করা যায়। যেমন-
১. রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস আছে অন্যান্যদের চেয়ে তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২ থেকে ৪ গুণ বেশি। হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
২. উচ্চ রক্তচাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এটাকে নীরব ঘাতকও বলা হয় কারণ অনেক রোগী বুঝতেই পারে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। এ কারণে নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। এ সমস্যা ধরা পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০ বছর বয়সের পর প্রত্যেকেরই ৬ মাস পর পর এর মাত্রা জানা প্রয়োজন। কারণ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বেশ কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে সবার সচেতন হওয়া উচিত। যেমন-
১. পারিবারিক ইতিহাসে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা প্রতিরোধ করা যায় না। এটা ঠিক নয়। জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ এড়ানো সম্ভব।
২. অনেকেই মনে করেন, ভাতে যেহেতু কাঁচা লবণ না এ কারণে উচ্চ রক্তচাপ বাড়বে না। কিন্তু বিষেষজ্ঞরা বলছেন, শতকরা ৭৫ ভাগ বাড়তি লবণ শরীরে যোগ হয় লুকানো উৎস যেমন- টমেটো সস, স্যুপ, টিনজাত খাবার এবং বেকারি খাবার থেকে। এ কারণে যেকোন প্যাকেজাত খাবার কেনার আগে সোডিয়াম লেভেলের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
৩. অনেকের ধারণা অ্যালকোহল পানে স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কিন্তু বিষেশজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
৫. কেউ কেউ মনে করেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওষুধ বন্ধ করে দেয়া উচিত। এটা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।