জুমবাংলা ডেস্ক: শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ঋণের চাপে বোনের বাড়ি গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ধীরেন চন্দ্র শীল (৫০) নামে এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশাকুড়ি চন্দ্রপাড়ায় বোনের বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে ফাঁস দেন তিনি। তিনি কাজের সন্ধানে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
ধীরেন চন্দ্র শীল মুলাদী উপজেলার রামচর গ্রামের লক্ষণ চন্দ্র শীলের ছেলে। তার ৬ মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজের সন্ধানে ডামুড্যায় বোনের বাড়ি এসেছিলেন ধীরেন চন্দ্র। করোনায় কাজ না থাকায় এলাকায় অনেক ঋণে জড়িয়ে যায়। এ নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এর আগে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশাকুড়ি চন্দ্রপাড়ায় বোনের বাড়ির পাশের গাছের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া মরদেহ ঝুলতে দেখে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেন।
ধীরেন চন্দ্র শীলের বোন দীপু রানী বলেন, আমি সকালে পূজা করার জন্য ফুল তুলতে বের হই। ফুলগাছের কাছে আসতেই দেখি ধীরেন গাছের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে ঝুলছে। আমি চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে।
তিনি আরও বলেন, ধীরেন নিজ এলাকায় নরসুন্দরের কাজ করত। আমাদের এখানে আসেন কাজের খোঁজে। ওদের ওদিকে কাজ নেই তেমন। এ ছাড়া পরিবার নিয়ে অনেক চিন্তায় ছিল। রোজগার না হওয়ায় ঋণ করেন। এখন সেই ঋণের চিন্তা বেশি ছিল মাথায়। আমাকে মাঝেমধ্যেই বলত— দিদি আমাকে ওরা ধরে নিয়ে যাবে। কিন্তু কে নেবে তা বলত না।
ডামুড্যা থানার ওসি তদন্ত এমারত হোসেন ঢাকা বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠাচ্ছি। অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।