জুমবাংলা ডেস্ক : লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে প্রতি বছরই ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ফলে বাজেট ঘাটতির অর্থের জোগান দিতে শুধু বিদেশি ঋণ নয়, দেশের অভ্যন্তর থেকেও বড় অঙ্কের ঋণ নিতে হচ্ছে। দিন দিন বাড়ছে ঋণ পরিশোধের চাপ। ফলে অর্থনীতিতে চোখ রাঙাচ্ছে সরকারের দায়-দেনা। এর সঙ্গে ডলার সংকট ও ডলারের বাড়তি দাম ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করছে। এমন অবস্থায় সুদ পরিশোধের জন্য বাজেটে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে সরকারকে।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য এক লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখছে সরকার। যা মোট বাজেটের ১৪.২৪ শতাংশ।
সরকারি পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ যত অর্থ রাখা হয়েছিল, ১০ মাসেই সেই বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। গত এক দশকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে সুদ পরিশোধের অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। তবে, ডলারের দাম ও সুদের হার বাড়ায় সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ঋণের সুদের জন্য এক লাখ ৫৩০০ কোটি টাকা রেখেছে সরকার।
মূল্যস্ফীতির পর এখন সরকারের দায়-দেনা অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে নানা চ্যালেঞ্জ ও সংকটের মধ্যেও নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী স্বপ্ন দেখছেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে। এজন্য এবারের বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য ধরা হচ্ছে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদন হবে এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে সংসদে পাস হয়ে ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।