জুমবাংলা ডেস্ক : একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মজিবর রহমান মাস্টার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
শনিবার সকাল ৯টায় রংপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর । মজিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
বদরগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মলিহা খানম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৩৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের খিয়ারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মজিবর রহমান। তার বাবার নাম সেরাজ উদ্দিন ও মা আলিমন নেছা।
১৯৪৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হন তিনি। ১৯৫২ সালে দশম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ভাষার দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার সময় মজিবর মাস্টার শ্যামপুর হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পরে তিনি ১৯৭১ সালে গঠিত বদরগঞ্জের সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৬নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন। ১ এপ্রিল সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ক্যাপ্টেন আনোয়ারের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক আনসার, পুলিশ ও সেনা সদস্য বদরগঞ্জে আসেন। তিনি ওই বহরে অংশ নেন। তারপর বদরগঞ্জ থেকে তারা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী যান। সেখানে তাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৬নং সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন নওয়াজেসের সঙ্গে তিনি নীলফামারীর চিলাহাটির তিনটি স্থানে গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন।
পরে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করেন। তার নির্দেশে মজিবর রহমান ভারতের কুচবিহারের টাপুরহাট যুব ক্যাম্পে সহকারী রিক্রুটিং অফিসার হিসেবে যোগ দেন।
মজিবর রহমান বদরগঞ্জের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। স্কাউটস আন্দোলনে যুক্ত থেকে রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করেন তিনি।
ভাষা আন্দোলনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন রংপুরের কৃতি সন্তান ভাষা সৈনিক ও মজিবর রহমান মাস্টার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।