জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়ায় প্রায় ৫২ কেজি ওজনের কাঁঠাল ধরেছিল সদর উপজেলার মহিষবাতান গ্রামে আবু বকর সিদ্দিকের গাছে। কাঁঠালটি দেখতে ভিড় করত এলাকার লোকজন। এবার ১ হাজার টাকায় কাঁঠালটি কিনে নিয়েছেন স্থানীয় উদ্যোক্তা আলফাজ উদ্দিন। কাঁঠালটি পাকলে আশপাশের সবাইকে খাওয়ানো হবে বলে মাইকে প্রচার করে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এর বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা তার।
আবু বকর সিদ্দিক জানান, কাঁঠাল খেয়ে বাড়ির পাশে বীজ ফেলেছিলেন তিনি। এতে জন্মানো গাছের বয়স প্রায় ২৫ বছর। বছর দশেক পর থেকে গাছে প্রথম কাঁঠাল ধরতে শুরু করে। তবে এত বড় আকারের কাঁঠাল এবারই প্রথম তার গাছে ধরেছে। তবে শুরু থেকেই তিনি কাঁঠালটির যত্ন নিয়েছেন।
আবু বকর আরো জানান, চলতি বছর তার গাছে দুটি কাঁঠাল ধরেছে। এর মধ্যে ছোট আকারের কাঁঠাল বাড়ির লোকজন মিলে খেয়েছেন, আর বড়টি বিক্রি করেছেন। বিক্রি করা কাঁঠালটির ওজন ৫২ কেজি। এত বড় আকার ও ওজনের কাঁঠাল এর আগে কখনো দেখেননি এ এলাকার মানুষ।
কাঁঠালের ক্রেতা এমএসকেএস নামে প্রতিষ্ঠানে পরিচালক আলফাজ উদ্দিন। তিনি জানান, তার কেনা কাঁঠালটি দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন। কাঁঠাল পাকলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এর বীজ দিয়ে চারা উৎপাদন করে ছড়িয়ে দেওয়ার আশা আছে। এর বীজ থেকে গাছ হলে বড় আকারের কাঁঠাল সবাই খেতে পারবে।
এদিকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসছেন এই কাঠাল দেখতে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন, একটি ছোট বোঁটায় কীভাবে এত বড় কাঁঠাল ঝুলে ছিল। অনেকেই মোবাইল ফোনে কাঁঠালের ছবি তুলে রাখছেন। স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠব্যক্তি আব্দুর রহমান, সেলিম উদ্দিন, আব্দুর রশিদ জানান, তারা এত বড় কাঁঠাল দেখে বিস্মিত। এটি আল্লাহর অশেষ রহমত।
বগুড়া শহর থেকে আসা আল আমিন, মুমিন জানান, তারা এত বড় কাঁঠালের খবর শুনে শহর থেকে এসেছেন। তারা অবাক হয়েছেন, এত বিশাল আকৃতির কাঁঠাল দেখে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বগুড়ার হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মীর কাশিম আলী জানান, বিভিন্ন সময়ে অনেক বড় আকারের কাঁঠাল দেখা যায়। কাঁঠালের উৎপাদন বাড়াতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। উন্নতমানের চারা উৎপাদন করে তা কম মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।