জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে হজ প্যাকেজ-২০২৩ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় মাত্র একটি প্যাকেজ চূড়ান্ত করে চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্য বছরগুলোতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজে হজযাত্রীরা অংশ নিতে পারতেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার মাত্র একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। গত বছরে সরকারি প্যাকেজ-১ এর তুলনায় খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮। প্যাকেজ-২ এর তুলনায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। গত বছর প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা ছিল।
সরকারি খরচের মধ্যে বিমান ভাড়া বাবদ হজযাত্রীদের এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা খরচ হবে জানিয়ে মন্ত্রী জানান, আমাদের বিমানের তিনটি ক্যারিয়ারে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
খরচ বাড়ার কারণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিয়েলের মূল্য ছিল ২১ টাকা, সেটি এখন ৩০ টাকা। এখানেই এক লাখের বেশি বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ ও আনুসঙ্গিক খরচ বেড়েছে। আমরা তিন দিন বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সৌদি আরবের মিনার তাবুর সি ক্যাপাগরির মূল্য অনুসারে সরকারি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মিনার তাবুর অবস্থান সংক্রান্ত ক্যাটাগরি গ্রহণের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব হজ প্যাকেজ নির্ধারণ করবে। তাবুর অবস্থান ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজের মতোই নিশ্চিত করতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ নির্ধারণ করে হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-হাব।
বেসরকারি প্যাকেজের খরচ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাদের ব্যয়ের খাত দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা খরচ করবে। ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬০ টাকার একটি প্যাকেজের কথা আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার খরচ বিষয়ে হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, সরকারি খরচের বেশি তারা প্যাকেজ ঘোষণা করবেন না। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবেন। আমরা একটা বা দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারি।
প্লেনের ভাড়া নিয়ে হাব সভাপতি বলেন, যে প্লেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা আরও কম হওয়া উচিত ছিল। আমি মনে করি হজ যাত্রীদের প্লেন ভাড়া নির্ধারণ করার এখতিয়ার যদি শুধু বিমান সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভর করে, তারা বাণিজ্যিক সংগঠন। তারা নিজেরাই যদি নিজেদের ভাড়া নির্ধারণ করে- তাহলে এটা ন্যায় হলো না। টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে প্লেন ভাড়া নির্ধারণ করলে আরও কম হতো।
মিশ্র পদ্ধতিতে বহন করা হলে তাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় দাবি করে হাব সভাপতি বলেন, আমি প্রস্তাব করেছি যে এবছর ডেডিকেটেড ফ্লাইড ছাড়া বহন করতে পারবে না।
প্রতিমন্ত্রী জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ জানুয়ারি রাজকীয় সৌদি সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের অনুমতি পাবেন।
তিনি আরও জানান, এবছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরব গমনকারী শতভাগ হজযাত্রীর প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ‘মক্কা রোড চুক্তি’ অনুযায়ী বিমানবন্দরেই অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।