বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি বিশ্বে সাধারণ ব্যবহারকারীদের মাঝে এআই নিয়ে আজ যে আগ্রহ দেখা যায় তার শুরুটা হয়েছে জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি’র আগমনের মধ্য দিয়ে। ২০২২ সালের নভেম্বরে বাজারে আসার পর থেকেই এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে উল্কার গতিতে। বর্তমানে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতি মাসে ব্যবহার করে জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির এই চ্যাটবটটি।
এবারে আলোচনায় এসেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। স্যাম অল্টম্যান-প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপটি আরও একবার বড় অঙ্কের বিনিয়োগের খোঁজে মাঠে নেমেছে। সম্প্রতি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান থ্রাইভ ক্যাপিটাল-এর সাথে ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনাও শুরু করে ওপেনএআই।
থ্রাইভ ক্যাপিটাল এর আগেও ওপেনএআই-তে বিনিয়োগ করেছে। তবে এবারের অর্থায়ন (ফান্ডিং) রাউন্ডে কি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে পাওয়া যাবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ওপেনএআই-এর বাজার মূল্য নির্ধারণ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারে ওপেনএআই-এর বাজার মূল্য ছাড়িয়ে যেতে পারে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেক্ষেত্রে ওপেনএআই হয়ে উঠবে বিশ্বের প্রথম ১০০ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপ। উল্লেখ্য, এর আগে ৮৬ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্যে বিনিয়োগ করা হয়েছে এআই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করা এই স্টার্টআপটিতে।
থ্রাইভ ক্যাপিটাল এবার ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি মাইক্রোসফটও ফান্ডিং রাউন্ডে অংশ নিবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় প্রতিষ্ঠানেরই বিনিয়োগ রয়েছে ওপেনএআই-তে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরও রয়েছে খোশলা ভেঞ্চার, ইনফোসিস ও ওয়াই কম্বিনেটর।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মাইক্রোসফটের ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পর এবারের অর্থায়ন রাউন্ডের মাধ্যমেই সবচেয়ে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ হিসেবে উত্তোলনের লক্ষ্য ওপেনএআই-এর।
এআই নিয়ে গবেষণার জন্য প্রয়োজন হয় বড় অঙ্কের অর্থ। চলতি বছরের শুরুতে ওপেনএআই-এর বার্ষিক আয় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তবে দ্য ইনফরমেশন-এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর শেষ হতে না হতেই ওপেনএআই-এর খরচের খাতায় চলে যাবে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত এআই প্রশিক্ষণ ও কর্মীদের পেছনে প্রতিষ্ঠানটির খরচ হয়েছে ৮.৫ বিলিয়ন ডলার।
স্টার্টআপ দুনিয়ায় ওপেনএআই-এর সাফল্য নিঃসন্দেহে অন্যান্য স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের মনে আশার সঞ্চার করবে। তবে দুর্দান্ত একটি আইডিয়া ও প্রযুক্তি নিয়ে বাজারে আসলেই সাফল্য সুনিশ্চিত এমনটা ভাবার যে কোনো সুযোগ নেই সেটাও ওপেনএআই-কে দেখে স্টার্টআপগুলো অনুধাবন করতে পারে।
স্টার্টআপ শুরু করার জন্য যেমন প্রয়োজন কোনো সমস্যা সমাধান বা চাহিদা পূরণ করতে পারে এমন আইডিয়া ও তার বাস্তবায়নে কার্যকর প্রযুক্তি, ঠিক তেমনি স্টার্টআপকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার (স্কেল আপ করার) জন্য চাই ব্যবসায়ীক ও অর্থ সম্পর্কিত জ্ঞান।
তথ্যসূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, টেকক্রাঞ্চ, দ্য ইনফরমেশন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।