জুমবাংলা ডেস্ক : প্রসূতির রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। তবে চিকিৎসক পুশ করেছেন ‘এবি’ পজিটিভ। এতে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম দেয়া কন্যাসন্তানের মা। এমনই অভিযোগ স্বজনদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতির নাম মিম আক্তার। তিনি জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের শাহীন মিয়ার স্ত্রী।
স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে প্রসববেদনা উঠলে মিমকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন গাইনি বিভাগের চিকিৎসক তাহেরা আকতার মনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম দেন মিম।
অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রক্ত লাগবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিকেলে হাসপাতালের চাহিদা অনুযায়ী ‘এবি’ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত এনে দেন রোগীর স্বজনরা। দুই ব্যাগ ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত দেয়ার পর প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তিনি মারা যান।
এতে সন্দেহ তৈরি হয় রোগীর স্বজনদের। পরে তারা আগের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে পরীক্ষার রিপোর্টে রোগীর রক্তের গ্রুপ দেখেন ‘ও’ পজিটিভ। এ সময় তারা বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, মিমের পরিবারের অনেকেরই রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজিটিভ। কিন্তু চিকিৎসক ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত চাওয়ায় সেই গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছেন তারা। চিকিৎসক ভুল গ্রুপের রক্ত পুশ করার পর রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টো স্বজনদের ওপর হামলা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রসূতির ভাই গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ভুল রক্ত দিয়েছে ডাক্তার। এজন্য আমার বোন মারা গেছেন। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত চিকিৎসক তাহেরা আকতার মনি বলেন, রোগীর শরীরে সঠিক রক্ত দেয়া হয়েছে। সিজারের পর রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচানো যায়নি। রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালের প্যাথলজিতে তার রক্তের গ্রুপ ‘এবি’ পজিটিভ শনাক্ত হয়।
সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।