জুমবাংলা ডেস্ক: বহুল কাঙ্খিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে। এর আগে ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৬ টাকা। শুরুতে এ রুটে ঢাকা থেকে প্রতিদিন এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।
কক্সবাজার রুটের ট্রেনের সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ করে রেলওয়ে একটি প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করেছে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় একটি ট্রেন যাত্রা করে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে।
যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মাঝপথে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্টেশন এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে দাঁড়াবে।
কক্সবাজার থেকে দুপুর ১ টায় যাত্রা করে একইভাবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বিরতি রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ট্রেন মাঝপথে কয়েকটি স্টেশনে দাঁড়াবে।
ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের শোভন চেয়ারে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫১৫ টাকা, এসি সিটে ৯৮৪ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এসি সিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ ভাড়া পড়বে ১ হাজার ১৩২ টাকা। ভ্যাটসহ এসি কেবিনে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। এসি বার্থে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৬ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫ ও সর্বোচ্চ ৭৪৮ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে ট্রেনের ছয়টি নাম প্রস্তাব করে ঢাকা রেল ভবনে পাঠানো হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে রেলমন্ত্রী আগামী ৭ নভেম্বর ট্রেনের নাম, ভাড়া, সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন। ওইদিনই রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। এর মধ্যে কালুরঘাট সেতুর রেলপথ মেরামত কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন রেল কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পরপরই ২০১০ সালে কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনসহ দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এ সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প সংশোধন করা হলে ব্যয় দাাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে খরচ ১৫ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের আপত্তির কারণে কক্সবাজার-ঘুমধুম ২৮ কিলোমিটার রেলপথ এখনও নির্মাণ শুরু করা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।