জুমবাংলা ডেস্ক: ভিন্নধর্মী চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। এর মধ্যে বাড়ছে কমলার চাষ। এভাবে স্থানীয়ভাবে কমলার চাষে আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন কৃষি অধিদপ্তর।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় ৮৬০ জন কৃষক কমলা ও মাল্টা চাষে জড়িত রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ১টি হাজার মাল্টা ও ৬০টি কমলার বাগান গড়ে উঠেছে।
কৃষি অধিদপ্তর বলছে, ঠাকুরওয়ের মাটি ধান, গম, সরিষার পাশাপাশি সব ধরণের ফসল চাষের উপযুক্ত হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে কিছু কৃষক সবুজ মাল্টাসহ চায়না কমলা চাষ শুরু করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটি লাভজনক হওয়ায় অনেকে ঠাকুরগাঁওয়ের সমতলে পাহাড়ি এ কমলা চাষে ঝুঁকছেন। জেলার কৃষকের পাশাপাশি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ শিক্ষিত বেকার, শিক্ষার্থীরাও শুরু করেছেন চায়না কমলার আবাদ। আর এ কাজে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ঠাকুরগাঁও কৃষি বিভাগ।
ঠাকুরগাঁওয়ের বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, কমলার বাগানে ভালো ফলন এসেছে। এ সব গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙয়ের কমলা। শীতের শুরুতে এসব কমলা বাগানের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাও ইউনিয়নে ৬ বিঘা মাটিতে সবুজ মাল্টা, চায়না ও দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান দিয়েছেন জয়নাল আবেদিন। পেশায় চাকরিজীবী এ বাগানি এ বছর ৫ লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘চাকরির পাশাপাশি একটা বাগানের স্বপ্ন ছিল। এক বন্ধুর পরামর্শে কমলা ও মাল্টার বাগান দেই। গত বছর প্রথমবার প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করেছি। এ বছর ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার কমলা বিক্রির আশা রয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আমার বাগান দেখতে আসছে। আর্থিকভাবে বাড়তি মুনাফার পাশাপাশি মানুষের সাড়া পেয়ে বেশ ভালো লাগছে।’
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের জমি সমতল এবং উর্বর। এখানে যেকোনো ধরনের ফসল ব্যাপক উৎপাদন হয়। অন্যান্য জেলা থেকে ঠাকুরগাঁও জেলায় শীত অনেক বেশি থাকে এবং মাটি অম্লীয় হওয়ায় এখানে কমলা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।