স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের এখন একটাই নাম নাম করোনাভাইরাস ৷ ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই এখন শোচনীয় অবস্থা ৷
সামর্থ্যবানরা যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসছেন। কেউ কেউ সাধারণ মানুষের দাঁড়াচ্ছেন, কেউ কেউ সরকারের কোষাগারে দিচ্ছেন বিপুল অর্থ। ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও পিছিয়ে নেই। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি বার্সেলোনার একটি হাসাপাতালেই ১০ লক্ষ ইউরো দান করেছেন। শুধু বার্সেলোনাতেই নয় নিজ দেশ আর্জেন্টিনাতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন মেসি।
এবার মেসি সরাসরি নামলেন করোনা যুদ্ধে! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ (পিপিই) পড়ে হাসপাতালের ভেতরে মেসি! দুই হাত উপরে তুলে গোল উদযাপনের ভঙ্গিতে। পিপিই-র পেছনে বড় করে লিখা, ‘মেসি ১০।’ তাহলে কি মেসি নিজেই এখন হাসপাতালে সেবা দিচ্ছেন? স্প্যানিশ গণমাধ্যম কিন্তু এ নিয়ে কোনো খবর প্রকাশ করেনি।
ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মেসি বার্সেলোনাতে গৃহবন্দি আছে। যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তা ‘কলকাতার মেসির।’ কলকাতার ডাক্তার অরুপ মল্লিক মেসির পাড় ভক্ত। হাসপাতালে তিনি এখন করোনাযুদ্ধে নিয়োজিত। নিজের পিপিই আলাদা করে রাখতে মেসির নামে মার্ক করেছেন এ যোদ্ধা। নিজের এ যুদ্ধকে তিনি কোনো অংশেই মেসির মাঠের যুদ্ধ থেকে আলাদা করে দেখেন না। বার্সেলোনার অধিনায়কের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভয়ডরহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ডাক্তার অরুপ মল্লিক ।
তাকে অনুপ্রাণিত করছেন একই পেশায় থাকা বান্ধবী দেবরাতি রানা। নিজের ফেসবুকে মল্লিককে উদ্দেশ্য করে দেবরাতি লিখেছেন,‘লিওনেল মেসি যেভাবে ফুটবল মাঠে প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে…যেভাবে গোল করে এবং যেভাবে সে অপরাজিত….এই মেসি নিজের চিকিৎসা পেশায় সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করেছে এবং নিশ্চিত করে বলতে পারে ও বিজয়ী হবে। সর্বোপরি টেন লাকি নম্বর। তাকে জিততেই হবে। তোমাকে নিয়ে আমার অনেক গর্ব পুস্প। নিরাপদ ও সুস্থ থাকো এবং অন্যকে সুস্থ করে তোলো।’
মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে চিকিৎসকরা করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করছেন। তাঁরাই করোনাভাইরাসকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। মানুষের প্রতি, বিশ্বের প্রতি তাদের এই আত্মত্যাগ শব্দ-বাক্যে প্রকাশের মত নয়। মানবতার জয়গান গাওয়া ক্রান্তিকালের এসব যোদ্ধারাই তো সত্যিকারের নায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।