
শফিকুল ইসলাম বেবু, ইউএনবি: করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট ময় পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারে পক্ষ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠাদান করলেও ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমেই সুষ্ঠুভাবে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে কুড়িগ্রামের এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল।
স্কুলটির শিক্ষার্থীরা অনলাইন পেজে ভিডিওতে আপলোডকৃত টেক্সট পড়ে নিজেরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। মাসের শেষে অভিভাকরা স্কুল থেকে পরীক্ষাপত্র বাড়িতে এনে নিজেরাই সন্তানদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরবর্তীতে পরীক্ষার উত্তরপত্রে শিক্ষকরা নম্বর দিয়ে ফেসবুক পেজে ফলাফল শিট উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন। এভাবে প্রতিমাসে কোর্স ভিত্তিক পড়াশুনা ও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মোবাইলে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক সংযোগ রাখা হচ্ছে।
চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বিদ্যালয়টি। ১১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮৮ জন। এ গ্রেড পেয়েছে ১৯ জন এবং বি পেয়েছে ৬ জন।
জেলায় এবার ১ হাজার ৯২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ অর্জন করেছে। আর উলিপুর থেকে জিপিএ ৫ পাওয়ার ১১৩ জনের মধ্যে এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকেই পেয়েছে ৮৮ জন। শতভাগ ভাগ পাশ করা এই বিদ্যালয়ের জিপিএ ৫ পাওয়ার শতকরা হার ৭৭ দশমিক ৮৮ ভাগ।
এছাড়াও কো-কারিকুলাম কার্যক্রমের মধ্যে এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল বরাবরই জেলায় সাফল্য অর্জন করে আসছে।
বিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক যতীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘আমরা স্কুলের নামে অনলাইন পেজে ক্লাসের টেস্কটগুলো ভিডিওতে আপলোড করছি। পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ফোনে অগ্রগতি যাচাই করছি। এছাড়াও কোর্স কমপ্লিট হলে অভিভাবকদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি। পরে আমারা সেটা মূল্যায়ন করছি। এর ফলে শিক্ষার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন রুহিলী জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর জেএসসি পরীক্ষায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েই জেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।
এন.এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক প্রভাষক শামীম আকতার আমীন জানান, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সবাই গৃহবন্দী। এই অবস্থা থেকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান ধরে রাখতে আমারা সরকারের নির্দেশনা মেনে অনলাইন পদ্ধতিতে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছি। বিদ্যালয়টি এখন উত্তরাঞ্চলের একটি খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’
বিদ্যালয় সম্পর্কে উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের উদ্যোগে অনলাইনে ক্লাস চালু রেখেছে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে তারা উপকৃত হচ্ছে। সৃজনশীল কাজে তারা জেলায় বরাবরই ভালো করে। বিগত জেএসসি পরীক্ষায় তারা জেলায় প্রথম হয়েছে। এবার এসএসসিতে অংশগ্রহণ করেই জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে রয়েছে স্কুলটির বেশ সাফল্য। আমি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।